ভাল করে যত্নআত্তি না করলে চুলকানি বেড়ে যেতে পারে শীতকালে। ছবি: শাটারস্টক।
ঠান্ডার সময় বাতাসের জলীয় ভাব কমে যায়, জলও একটু কম খাওয়া হয়। ফলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। তার উপর যদি চা–কফি–মদ ইত্যাদি বেশি খাওয়া হয়, শরীর থেকে বেশি জল বেরিয়ে ত্বক শুষ্ক হতে থাকে। ত্বকের আর্দ্রতাও আরও কমে৷ তেল–ক্রিম মেখে তা সামলাতে না পারলে শুরু হয় চুলকানি।
এর সঙ্গে খাওয়ার নিয়ম, স্নানের নিয়ম, প্রসাধনী ও ওষুধপত্রের ব্যবহার ঠিক ভাবে না মেনে চললে বিপদ বাড়ে৷ এই সময় ত্বকের যত্ন নিতে চাইলে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে রইল তার হদিশ।
খান সঠিক খাবার
এমনিই টুকটাক, চিপ্স–পকোরার জুড়ি নেই শীতকালে। যার ফলে সুষম খাবারের ইচ্ছে ও খিদে দুই–ই মরে যায়, তার হাত ধরে আর্দ্রতা কমে ত্বকের৷ ভাল করে যত্নআত্তি না করলে চুলকানি বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘অজানা জ্বর’-এর হানা ক্রমেই বাড়ছে, কোন পথে অসুখ এড়াবেন?
সমস্যা কমাতে ভাজাভুজি কম খান৷ বেশি খান অ্যান্টিক্সিড্যান্ট ও ন্যাচারাল ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার৷ যেমন, মরসুমি ফল, আপেল, আমন্ড, আখরোট, অ্যাভোক্যাডো। অলিভ অয়েলে সতে করা সব্জি বা স্যালাড খান। তৈলাক্ত মাছ, হলুদ–কমলা–গাঢ় সবুজ রংয়ের শাক–সব্জি খান পর্যাপ্ত। জলীয় খাবার খান বেশি।যেমন, ৮–১০ গ্লাস জল, স্যুপ, ফলের রস, ঘোল, দুধ।
ত্বকের ধরণ বুঝে বাছুন ক্রিম।
ব্যবহার করুন সঠিক পোশাক–প্রসাধনী
উল বা গরম কাপড়ে চুলকানি বাড়লে সুতির জামার উপর গরম জামা পরুন। মৃদু সাবান নিরাপদ৷ সুগন্ধে অ্যালার্জি থাকলে মৃদু গন্ধের বা গন্ধহীন সাবান মাখুন। স্নানের পর ভেজা গায়ে লাগান গন্ধহীন নারকেল তেল৷ তার পর এক মগ জল ঢেলে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চেপে মুছে নিন, ত্বকের আর্দ্রতা বেশি ক্ষণ বজায় থাকবে। কম থাকবে চুলকানি। ময়েশ্চারাইজারও লাগাতে পারেন। স্নানের পর অল্প ভেজা গায়ে লাগালে ত্বকের গভীরে যাওয়া জলের উপর প্রতিরোধক আবরণ তৈরি হয়ে আর্দ্রতা বজায় থাকে বেশি ক্ষণ। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করুন মৃদু গন্ধের জেল বেস্ড লোশন, ত্বকের প্রকৃতি শুষ্ক হলে মাখুন ক্রিম বেস্ড লোশন।
আরও পড়ুন: পাতে নেই ব্রকোলি? অজান্তেই নিজের এ সব ক্ষতি করছেন
ময়েশ্চারাইজারে ত্বক রাকুন আর্দ্র।
গরম জল ও চুলকানি
শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করা যায় না। আর গরম জলে স্নান মানে ত্বক আরও শুকিয়ে যাওয়া। কাজেই মধ্যপন্থা নিন। গরম জল ছাড়তে না পারলে স্নান সারুন সংক্ষেপে। আর দীর্ঘ স্নানের আরাম নিতে গেলে ব্যবহার করুন উষ্ণ জল। রক্ত সঞ্চালন বেড়ে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে তাতে। তার পর ভেজা গায়ে তেল বা ক্রিম লাগিয়ে নিলে কম থাকে চুলকানি৷
ওষুধপত্র
নিয়ম মেনে চুলকানি না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে মলম লাগান৷ বাড়াবাড়ি চুলকানিতে ডাক্তারের পরামর্শমতো অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ওষুধ খান। সমস্যা ঠেকাতে অনেক সময় শীতের শুরু থেকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও বিটা ক্যারোটিন সাপ্লিমেন্ট খেতে দেওয়া হয়। উপকার পাবেন এতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy