ঘরোয়া কিছু উপাদানেই খুশকিকে তাড়িয়ে দিতে পারেন কনকনে শীতেও। ছবি: শাটারস্টক।
শীতের জানান দেওয়া মানেই ত্বক শুষ্ক হওয়ার মরসুম শুরু। আর খালি চোখে দেখা যায় না ত্বকের এমন অনেক জায়গাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে। মাথার ত্বকও এই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচে না। শীতকালে মথার ত্বকের এই শুকিয়ে যাওয়ার কারণে খুশকির হানা প্রবল ভাবে বাড়ে। নিয়মিত যত্ন নিলেও আবহাওয়ার কারণেই চুলের আগা ফেটে যাওয়া, পড়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা বর্ষার মতোই এই মরসুমেও বাড়ে।
তবে সমস্যা খুব বড় আকার না নিলে ঘরোয়া কিছু উপায়ে একে প্রতিরোধ করাই যায়। খুব কঠিন পদ্ধতিও নয়, কষ্টলভ্য উপাদানও নয়, এমন কিছু দিয়ে এই ঘরোয় যত্নটুকু সারাই যায়। এই যেমন ধরুন পাতিলেবু, নারকেল তেল বা ক্যাস্টর অয়েল— এ সব উপাদানেই খুশকিকে তাড়িয়ে দিতে পারেন কনকনে শীতেও।
আজকাল হাতে সময় নেই প্রায় কারও। তাই সমাধানকেও হতে হবে জঞ্ঝাটবিহীন কম সময়সাপেক্ষ। এই উপাদানগুলি তেমনই। কিন্তু শুধু উপাদানই তো শেষ কথা নয়, কী ভাবে প্রয়োগ তার উপরেই নির্ভর করে সমস্যা থেকে মুক্তি। রইল সে সবের হদিশ।
আরও পড়ুন: থাইরয়েড গ্রন্থিতে ক্যানসার? সম্পূর্ণ সুস্থ থাকুন এই সব উপায়ে
বাড়ি ফিরেও অফিসের কাজ করেন? বিপদ ডাকছেন কিন্তু, বলছে গবেষণা
পাতিলেবুর রস আর নারকেল তেল: শুষ্ক আবহাওয়ায় তেল মাথায় আর্দ্রতা জোগায়। চুলের গোড়ায় পুষ্টির জোগান দেয়। এই নারকেল তেলকে একটু গরম করে তাতেই যোগ করুন কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ভাল করে মালিশ করুন। মিনিট২০-৩০ বাদে শ্যাম্পু করে নিন।
নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল: প্রতি দিন রাতে নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল গরম করে মিশিয়ে নিন। আঙুলের ডগায় তেল নিয়ে তাভাল করে মাসাজ করুন চুলে। এর পর চুল বেঁধে শুয়ে পড়ুন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এমন করলেই খুশকি কমবে উল্লেখযোগ্য ভাবে।
পাতিলেবুর রস ও জল: লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড মাথার পিএইচ-এর ভারসাম্য রক্ষা করে। মাথার অতিরিক্ত তেল বার করে দিতেও এটি খুবই কার্যকর। মাথায় পাতিলেবুর রস লাগিয়ে কিছপ ক্ষণ রেখে দিন। এর পর সেই রস মেশানো জল দিয়েই ধুয়ে পেলুন তা। এর পর খুশকি প্রতিহত করতে পারে এমন কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy