চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে চুক্তিমাফিক নোটিস পিরিয়ডে ছিলেন। তার মধ্যেই অফিসের সময় তাঁকে পুত্রের স্কুলের কাজ করে দেওয়ার জন্য চাপ দিলেন ম্যানেজার! সমাজমাধ্যমে তেমনটাই দাবি করে হইচই ফেলে দিয়েছেন এক তরুণ কর্মী। তাঁর দাবি, নোটিস পিরিয়ডে থাকাকালীন ম্যানেজার তাঁর পুত্রের স্কুলের কাজ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তা-ও আবার অফিসের কাজ করার সময়ে। সমাজমাধ্যমে রেডিটে সেই অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন ওই কর্মী। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট। যদিও সেই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল পোস্ট অনুযায়ী, চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর নোটিস পিরিয়ডে ছিলেন ওই কর্মী। ওই সময়ের মধ্যে এক সহকর্মীকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। এক দিন সে রকমই তিনি তাঁর সহকর্মীকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। এমন সময় ম্যানেজার তাঁকে কেবিনে ডাকেন। অদ্ভুত দাবি করেন তাঁর কাছে। তরুণ কর্মীর দাবি, ম্যানেজার তাঁকে জানান যে, তাঁর পুত্র দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে এবং আইআইটি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই ওই কর্মী যেন স্কুলের কিছু কাজে পুত্রকে সাহায্য করে দেন। শুধু তাই নয়, ম্যানেজার ফোন করে পরে জানতেও চান যে তিনি ঠিক ভাবে ছেলের কাজ করে দিচ্ছেন কি না।
আরও পড়ুন:
‘লাইফলং_লার্নার’ নামে রেডিট অ্যাকাউন্ট থেকে করা সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই সমাজমাধ্যমে হইচই পড়েছে। কর্পোরেট সংস্কৃতিতে ব্যক্তিগত কাজ এবং পেশাদার প্রত্যাশার মধ্যে সীমানা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সেই পোস্ট। আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। বিতর্কও তৈরি হয়েছে পোস্টটিকে কেন্দ্র করে। পোস্টটি দেখার পর এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘চরম অপেশাদার আচরণ। কোনও কর্মীকে ব্যক্তিগত কাজ করানো উচিত নয়। সে নোটিস পিরিয়ডে থাকুন বা না থাকুন। আপনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’