তিনি সন্তান জন্ম দিতে অপারগ। স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে তাই প্রতিবেশী যুবককে ভাড়া করেছিলেন! কিন্তু ৭২ বার চেষ্টার পরেও অন্তঃসত্ত্বা হননি স্ত্রী। শেষমেশ রেগে গিয়ে ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বামী। অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে জার্মানির স্টুটগার্টে। ইতিমধ্যেই সে দেশে আলোড়ন পড়েছে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে। হইচই পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমেও।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্টুটগার্টের বাসিন্দা ডেমেট্রিয়াস সোপোলোস এবং তাঁর স্ত্রী ট্রাউট বিগত কয়েক বছর ধরে বিবাহিত। ডাকসাইটে সুন্দরী ট্রাউট। বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাতেও অংশ নিয়েছিলেন। বিগত কয়েক মাস ধরে সন্তানের জন্ম দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন দম্পতি। চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। এর মধ্যেই পরীক্ষা করিয়ে ডেমেট্রিয়াস সম্প্রতি জানতে পারেন, সন্তানের জন্ম দিতে অপারগ তিনি। সন্তানের জন্য মরিয়া ডেমেট্রিয়াস এর পরেই যোগাযোগ করেন প্রতিবেশী ফ্রাঙ্ক মাউস নামে এক যুবকের সঙ্গে। দু’জনের মধ্যে চুক্তি হয় ট্রাউটকে অন্তঃসত্ত্বা করতে পারলে ফ্রাঙ্ককে ২,৫০০ ডলার দেবেন ডেমেট্রিয়াস। যদিও পুরো বিষয়টিতে সায় ছিল না ফ্রাঙ্কের স্ত্রীর। কিন্তু ফ্রাঙ্ক তাঁকে বলেন, স্রেফ টাকার জন্য ট্রাউটের শয্যাসঙ্গী হবেন তিনি।
আরও পড়ুন:
প্রথম দিকে সব ভালই চলছিল। প্রত্যেক সপ্তাহে তিন বার করে ডেমেট্রিয়াসের বাড়ি যেতেন ফ্রাঙ্ক। সঙ্গম করতেন ট্রাউটের সঙ্গে। এ ভাবেই দিন যেতে থাকে। সন্তানলাভের আশায় চুপ করে সব মেনে নেন ডেমেট্রিয়াস। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে থাকে। ছ’মাসে ট্রাউট এবং ফ্রাঙ্কের ৭২ বার সঙ্গমের পরেও কোনও ভাল খবর না পেয়ে চটে যান তিনি। ডেমেট্রিয়াস দাবি করেন, ফ্রাঙ্ককেও বন্ধ্যত্ব পরীক্ষা করাতে হবে। আর সেই পরীক্ষার পরেই পুরো ঘটনায় নাটকীয় মোড় আসে। দেখা যায়, ফ্রাঙ্ক নিজেও বন্ধ্যত্বের শিকার। সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম তিনি। ফ্রাঙ্কের স্ত্রীও স্বীকার করেন যে, তাঁর দুই সন্তানের কেউ-ই ফ্রাঙ্কের নয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর চুক্তি লঙ্ঘনের দাবি করে ফ্রাঙ্ককে কাঠগড়ায় তুলেছেন ডেমেট্রিয়াস।
আরও পড়ুন:
সেই মামলার শুনানি চলছে। ইতিমধ্যেই শুনানি চলাকালীন ডেমেট্রিয়াস এবং ফ্রাঙ্কের চুক্তির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আদালতের বিচারক।