প্রেমিকার সঙ্গে বাগ্দান হয়েছে। আনন্দ ধরে রাখতে পারলেন না তরুণ চিকিৎসক। হাসপাতালের অন্দরেই জামা খুলে বাগ্দত্তার সঙ্গে নাচলেন তিনি! সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার সরকারি হাসপাতালে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শামলি জেলার সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ওই তরুণ চিকিৎসকের নাম আফকার সিদ্দিকি। সম্প্রতি বাগ্দান হয়েছিল তাঁর। আফকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাগ্দান উদ্যাপন করতে হাসপাতালের ডিউটি রুমের ভেতরেই জামা খুলে, স্যান্ডো গেঞ্জি পরে নাচছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর হবু স্ত্রীও। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের ডিউটি রুমের ভিতর তারস্বরে হিন্দি গান চালিয়ে নাচছেন এক যুগল। তাঁদের মধ্যে তরুণ নিজের জামা খুলে ফেলেছেন। পরনে স্যান্ডো গেঞ্জি এবং প্যান্ট। আর সে অবস্থাতেই তরুণীর সঙ্গে নাচে মেতেছেন তিনি। নাচতে নাচতে মাটিতে শুয়ে পড়তেও দেখা যায় তাঁকে। অচিরেই ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো।
আরও পড়ুন:
জানা গিয়েছে, ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর তা শামলির ভাইরাল ঊর্ধ্বতন চিকিৎসাকর্তাদেরও নজরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয় আফকারের বিরুদ্ধে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে শোকজ় করা হয়েছে তাঁকে। ডিউটি রুমের ভিতর তিনি কেন নাচছিলেন, তার কারণ জানতে চেয়ে জবাব তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকের নাচার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সমাজমাধ্যমে। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকে মজার মজার মন্তব্য করলেও অনেকেই চিকিৎসকের আচরণ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। চিকিৎসকের সমর্থনেও সরব হতে দেখা গিয়েছে নেটাগরিকদের একাংশকে। এক নেটাগরিক ভিডিয়ো দেখে লিখেছেন, ‘‘দায়িত্বজ্ঞানহীন! এ সব চিকিৎসকদের জন্যই রোগীদের বিপদ বাড়ে।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘চিকিৎসকদের অত্যন্ত চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়। অনেকের সারা জীবন হাসপাতালেই কেটে যায়। তার মধ্যে কেউ যদি একটু আনন্দ করতে চান, তা হলে তাতে অন্যায়ের কী আছে!’’ তৃতীয় এক জন লিখেছেন, ‘‘আরে চিকিৎসক বলে মানুষ নয় নাকি! আমি এর মধ্যে কোনও ভুল দেখছি না। ঈশ্বর এঁদের জুটি অটুট রাখুন, এই কামনা করি।’’