গাড়ি চালাচ্ছিলেন প্রায় ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। আর তার মধ্যেই প্রেমিকার সঙ্গে সঙ্গমে মত্ত হলেন যুবক! অভিযোগ তেমনটাই। যুগলের এই বেপরোয়া আচরণ কেবল তাঁদের নিজেদের জীবনই বিপন্ন করেনি, বরং জার্মানির অন্যতম ব্যস্ত সড়কে যানজটের সৃষ্টি করেছিল। তবে ওই কাজের পর পার পাননি তরুণ। গ্রেফতার হতে হয় তাঁকে। সপ্তাহ দুয়েক আগে জার্মানির অটোহানে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে হইচই পড়েছে জার্মানি জুড়ে। সমাজমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ নভেম্বর। অটোহানের এ১ সড়কে ফোর্ডে চড়ে ডর্টমুন্ডের দিকে যাচ্ছিলেন যুগল। গাড়ির গতি ছিল প্রায় ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। কিছু রাস্তা অতিক্রম করার পর এঁকেবেঁকে চলতে থাকে গাড়িটি। একটি মোড়ের কাছে এসে গাড়িটি এতটাই বিপজ্জনক ভাবে ডান দিকে বাঁক নেয় যে আর একটু হলেই লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগছিল। সেই সময় অন্য এক যুবক গাড়ি চালিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। যুগলের গাড়িটিকে বিপজ্জনক ভাবে চলতে দেখে পাশে গিয়ে উঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করেন তিনি। অভিযোগ, গাড়ির মধ্যে সঙ্গম করছিলেন ৩৭ বছর বয়সি যুবক এবং তাঁর ৩৩ বছর বয়সি প্রেমিকা। তার মধ্যে গাড়িও চালাচ্ছেন যুবক। সেই দৃশ্য দেখে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন দ্বিতীয় গাড়ির যুবক।
আরও পড়ুন:
মুনস্টারের বাইরে অবস্থিত একটি সার্ভিস স্টেশনে যুগলের গাড়ি থামায় পুলিশ। আটক করা হয় তাঁদের। পরে গাড়ির চালক ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাস্তার বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানো এবং যানজট সৃষ্টি করার জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন, কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন ওই যুবক। দোষী সাব্যস্ত হলে চালকের পাঁচ বছর পর্যন্ত হাজতবাসও হতে পারে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে জার্মানি জুড়ে হইচই পড়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। যুবককে দায়িত্বজ্ঞানহীন তকমা দিয়ে তাঁর শাস্তির দাবিতেও সরব হয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ।