বিয়ের রাতে মালাবদলের পর বরের সঙ্গে ‘আনন্দে’ নাচছিলেন। তাঁর নাচ তাক লাগিয়েছিল বিয়েতে আগত অতিথি এবং আত্মীয়স্বজনদেরও। আর সকাল হতেই গায়েব হলেন সেই নববধূ! বিয়ে হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে কনেকে ছাড়াই বাড়ি ফিরতে হল বরকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি জেলায়। বিয়ের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই নিখোঁজ হয়ে যান কনে। ইতিমধ্যেই কনে এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন পাত্রপক্ষ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বারাবাঁকি জেলা জুড়ে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিখোঁজ কনের নাম পল্লবী। মাস তিনেক আগে সুনীল কুমার গৌতম নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় তাঁর। মঙ্গলবার বারাবাঁকিতে সেই বিয়ের আসর বসেছিল। ওই দিন রাতে প্রায় ৯০ জন বরযাত্রীকে নিয়ে পল্লবীদের বাড়ি পৌঁছোন সুনীল। গভীর রাত পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠান চলে। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর নবদম্পতি মালাবদল করেন। মালাবদলের পর মঞ্চে একসঙ্গে নাচতেও দেখা যায় বর এবং কনেকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নাচ করার সময় পল্লবীকে খুব আনন্দিত লাগছিল।
আরও পড়ুন:
কিন্তু বুধবার সকালে কনেবিদায়ের সময় দেখা যায়, পল্লবী নিখোঁজ। সঙ্গে সঙ্গে হইচই পড়ে। সকলে প্রথমে মনে করেন যে, পল্লবী কাছেপিঠেই কোথাও আছেন। কিন্তু দুই পরিবার মিলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েও তাঁর খোঁজ পায়নি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশের দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যেরা। স্থানীয়দের অনেকেরই দাবি, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন পল্লবী। পুলিশেরও ধারণা, বিয়ের সমস্ত আচার শেষ হওয়ার পর যখন সবাই ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, সেই সুযোগেই প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দেন কনে। জানা গিয়েছে, বাড়ি ছেড়ে পালানোর সময় বিয়ের গয়নাও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন পল্লবী।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, পল্লবীর জন্য অপেক্ষা করে করে বুধবার বেলার দিকে বরযাত্রীদের নিয়ে বাড়ি ফিরে যান সুনীল। পল্লবী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়েরও করেছে সুনীলের পরিবার। পুরো বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পল্লবীর গতিবিধি শনাক্ত করার জন্য মোবাইল ফোনের অবস্থান এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে।