সারা বছরই পেঁপের দৌরাত্ম্য চলে ফলের বাজারে। কিন্তু গ্রীষ্মে পাকা পেঁপের চাহিদা যেন একটু বেশিই। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শরীরে জলের ঘাটতি হলে পেঁপে খেয়েই সুস্থ থাকতে পারেন। অতি গরমে বদহজমের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন এই ফলের দৌলতে।
কিন্তু বাজারে গিয়ে যদি ভুল করে বসেন? ধরে নিন, এমন একটি পেঁপে কিনে আনলেন, যা মিষ্টি নয়, বা বিস্বাদ, তা হলে? টাকাও জলে যাবে, পরিশ্রমও বৃথা হবে। তাই আগেভাগে জেনে নিন সঠিক পেঁপে কিনতে হলে কী কী মাথায় রাখা দরকার।
পাকা পেঁপে কেনার কৌশল
বিক্রেতা তো নিজের দোকানে রাখা সমস্ত পেঁপেরই প্রশংসা করবেন। কিন্তু আপনাকেই চোখ খোলা রাখতে হবে। আপনার ইন্দ্রিয়গুলিই পথ দেখাতে পারবে। বাজারের সেরা পেঁপেটি বেছে নিতে মেনে চলুন এই কয়েকটি নিয়ম-

রং- যে পেঁপেগুলির উপরের দিকে হলুদ রং ধরেছে, মাঝেমাঝে কমলার ছোঁয়া, সেই পেঁপেগুলিতেই পাক ধরেছে। যদি দেখেন, পেঁপেটি তখনও সবুজ হয়ে রয়েছে, তার মানে সেটি তখনও কাঁচা। এই ধরনের পেঁপেতে মিষ্টত্ব থাকে না। এমনকি, খেয়ে বিস্বাদও লাগতে পারে।
গন্ধ- কেবল রং নয়, গন্ধ দিয়েও চেনা যায় পাকা পেঁপে। পেঁপেতে পাক ধরলে বাইরে থেকেই মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যায়। গন্ধ না পেলে অথবা অতিরিক্ত গন্ধ নাকে গেলে বুঝবেন, পেঁপেটি কাচা অথবা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
স্পর্শ- পেঁপের গায়ে আলতো চাপ দিয়ে পরখ করে নিতে পারেন। যদি দেখেন হালকা নরম নরম ঠেকছে, তার মানে পেঁপেটি পেকে গিয়েছে। এখনই খেয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি শক্ত ভাব থাকে, কিংবা অত্যধিক নরম মনে হয়, তা হলে বুঝবেন, এখনও পাক ধরেনি অথবা অত্যন্ত বেশি পেকে গিয়ে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেগুলি বাদ দিয়ে কেনাই ভাল।
দাগ- সেরা পাকা পেঁপেটির উপরের দিক হবে মসৃণ, দাগহীন। যেগুলিতে সাদা সাদা ছোপ বা কালো দাগ দেখতে পাবেন, সেগুলি বেছে নেবেন না।
এ সব মাথায় রাখার পরেও যদি পাকা পেঁপের বদলে কাঁচা পেঁপে কিনে নিয়ে আসেন, তার পরেও একটি উপায় রয়েছে। কাঁচা পেঁপেটিকে বাড়িতে রেখেই পাক ধরাতে পারেন। দিন কয়েক পরে পেকে গেলে খাওয়া যেতে পারে। তবে তার জন্য একটি কাগজের ঠোঙা বা থলেতে পেঁপেটিকে ভরে রেখে দিতে হবে। মাথায় রাখুন, ফলটিকে ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। তবে পাকা পেঁপে হলে সেটিকে সংরক্ষণ করার জন্য ফ্রিজের সাহায্য নিতে হবে। ২-৩ দিনের মধ্যে গোটা পেঁপে খেয়ে না নিলে সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।