ডেঙ্গি মোকাবিলায় গোদরেজ কালো হিট-এর নয়া উদ্যোগ

শীতের হাওয়া ঢুকে পড়েছে শহরে। ঠান্ডার আমেজে কিছুটা হলেও পিছু হঠেছে মশক ব্রিগেড। চারিদিকে মশা হঠাও অভিযানের পরে বেশ খানিকটা সতর্কও হয়েছে বঙ্গবাসী। তবে ডেঙ্গি আতঙ্ক এখনই পিছু ছাড়ছে না। তার উপরে প্লেটলেটের অভাবে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১০ সালে গোটা দেশে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ২৯২। সেখানে ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ২৯ হাজার ১৬৬তে। মৃত্যু হয়েছিল ২৪৫ জনের। এই বছরেও সংখ্যাটা নেহাৎ কম নয়।

দেশের নানা শহরেই রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে উঠেছে ডেঙ্গি। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর খবরও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামনে আসছে প্লেটলেট না মেলার তত্ত্ব। কেন না শরীরে প্লেটলেটের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্লেটলেট শরীরের রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার ৪-৫ দিন পর থেকেই রোগীর শরীরে প্লেটলেট কমতে থাকে। এক নাগাড়ে প্লেটলেট কমতে থাকলে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। একটা পর্যায়ের পরে রোগীর শরীরে বাইরে থেকে প্লেটলেট না দিলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এই সময়ে দাঁড়িয়ে, ডেঙ্গি যখন ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে, তখন হন্যে হয়ে খুঁজেও প্লেটলেট পাওয়া যাচ্ছে না। এক ধাক্কায় চাহিদা অনেকটা বেড়ে যাওয়ার ফলে, ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিও হিমশিম খাচ্ছে প্লেটলেট যোগান দিতে। মিলছে না প্লেটলেট ডোনারও। একপ্রকার বাধ্য হয়েই সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে প্লেটলেট ডোনারের আবেদন করে ঘোরাফেরা করছে একাধিক পোস্ট। তবু সমাধান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ডেঙ্গির আক্রমণে কলকাতা জুড়ে প্লেটলেটের এই আকালের সময়ে, ময়দানে নেমেছে গোদরেজ কালো হিট। অ্যাপোলোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তদের সাহায্য করতে তৈরি করা হয়েছে একটি অনলাইন কমিউনিটি। ডেঙ্গি রোগীরা যাতে খুব সহজে প্লেটলেট পেতে পারেন তার জন্যেও ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে একটি ফোন নম্বর - ০৩৩ - ৬০৬০১০৬৬। কলকাতায় ডেঙ্গি রোগীদের প্লেটলেটের প্রয়োজন হলেই ফোন করুন এই নম্বরে।

শুধু তাই নয়। এই রোগ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে, ডেঙ্গি রোগীদের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসুন আপিনও। গোদরেজ হিট/ট্র্যাক দ্য বাইট - এ গিয়ে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করুন প্লেটলেট দানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা।