স্মার্টওয়াচ এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজন। শরীরের অবস্থা কেমন তা তো জানান দেবেই, পাশাপাশি গান শোনা, ব্লুটুথ, ফোন ছাড়াই কথা বলার সব রকম সুবিধাও আছে স্মার্টওয়াচে। দিনে কত কদম হাঁটছেন, হার্টের অবস্থা কেমন, হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, সবই মাপা যায় এই যন্ত্রে। এ বার থেকে আবার আরও একটি নতুন ফিচারও যোগ হচ্ছে। হার্টের হালহকিকত জানানোর পাশাপাশি ভূমিকম্পের আগাম সঙ্কেতও দেবে স্মার্টওয়াচ। সতর্ক করবে গ্রাহককে। গুগ্লের স্মার্টওয়াচে আসতে চলেছে এই ফিচার।
ভূমিকম্পের আগাম সঙ্কেত পাওয়ার ফিচার অ্য়ান্ড্রয়েড ফোনে বহু আগেই এসে গিয়েছে। ২০২০ সালে স্মার্টফোনে এই ফিচার যোগ করে গুগ্ল। তবে তখন তা এ দেশে পাওয়া যেত না। দেশে এই ফিচারটি আসে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। এ বার ফোন থেকে স্মার্টওয়াচে ফিচারটি নিয়ে আসতে চলেছে গুগ্ল।
ভূমিকম্প মানেই আতঙ্ক। যদি রিখটার স্কেলে মাত্রা বেশি হয় এবং কম্পনের তীব্রতা বেশি থাকে, তা হলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও বাড়ে। স্মার্টওয়াচ আগে থেকেই সতর্ক করবে এ ব্যাপারে। গুগ্লের নতুন হাতঘড়িতে এমন সেন্সর লাগানো থাকবে, যা কম্পন হওয়ার আগেই ব্যবহারকারীকে জানিয়ে দেবে যে, কত ক্ষণের মধ্যে ভূমিকম্প হবে, কোথায় হবে এবং তিনি যে জায়গায় রয়েছেন সেখানে কম্পন অনুভূত হবে কি না। শুধু তা-ই নয়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল বা এপিসেন্টার থেকে ব্যবহারকারী কতটা দূরে রয়েছেন, তা-ও জানাতে পারবে স্মার্টওয়াচ।
আরও পড়ুন:
এ ক্ষেত্রে মোশন সেন্সরের সাহায্যে মাটির কম্পন টের পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে গুগ্ল। কোনও একটি এলাকায় অনেকগুলি ফোনের মোশন সেন্সর যদি একসঙ্গে কাজ করে, তা হলে তার সাহায্যে কম্পন ধরা সম্ভব। সেই কম্পনই টের পাবে স্মার্টওয়াচের সেন্সরও। এই ভাবেই ব্যবহারকারীকে সঙ্কেত দিয়ে জানাতে পারবে, যে তিনি যে জায়গায় রয়েছেন সেখানে ভূমিকম্প হতে পারে কি না। কত রিখটার মাত্রার কম্পন হতে পারে, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে। ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় যাঁরা থাকেন অথবা তেমন কোনও জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন, তাঁদের জন্য এই ফিচারটি বিশেষ ভাবে সহায়ক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।