কিছু মানুষ থাকেন যাঁদের জীবন নিয়ে অভাব-অভিযোগ শেষই হয় না। আবার এমন মানুষও আছেন যাঁরা হাসিমুখে পরিশ্রম করে চলেছেন। ঝড়ঝাপটা তাঁদের জীবনেও আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সবসময় মুষড়ে পড়েন না তাঁরা। বরং তাঁদের কাছে গেলে মন ভাল হয়ে যায়, অনুপ্রেরণা মেলে।
ব্যক্তিজীবনে এমনই হেসে খেলে থাকতে চান, কিন্তু পারেন না? হাজারটা খারাপ খবরের ভিড়ে, জীবনে নানা রকম সমস্যা পার করে ভাল থাকা বড্ড কঠিন বলে বোধ হয়? মানসিকতা এবং অভ্যাসে সামান্য বদলই কিন্তু পালটে দিতে পারে জীবনের ছবি। চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন:
১। যে সমস্ত মানুষ দিনরাত নেতিবাচক কথা বলেন, একই প্রসঙ্গ বার বার উত্থাপন করেন তাঁদের সংস্পর্শে থাকলে মন কিন্তু ভাল থাকে না। কেউ মানসিক কষ্ট বা অবসাদে থাকলে তাঁকে এড়িয়ে চলা ঠিক নয়। বরং যতটা সম্ভব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া দরকার। কিন্তু স্বভাবগত ভাবে কেউ এমন হলে, সেই পরিবেশ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া ভাল। ইতিবাচক কথা যেমন অনুপ্রেরণা জোগায়, তেমনই ক্রমাগত নেতিবাচক কথা মনকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে পারে।
২। দিনের শুরুটা হোক পরিকল্পনা মেনে। সকালে উঠেই মোবাইল নয়, বরং খোলা হাওয়ায় খানিক হাঁটা, মাঠে বসে প্রাণায়াম শরীর-মনে ইতিবাচক শক্তি জোগায়। এ কথা প্রমাণিত, সকালে উঠে শরীরচর্চা, হাঁটা, খোলা হাওয়ার সান্নিধ্যে থাকলে মন তরতাজা থাকে।
৩। অন্যের শুধু খারাপ দিকগুলি না খুঁজে ভাল দিকগুলির প্রশংসাও জীবনে ইতিবাচক পদক্ষেপে সাহায্য করে। মনোবিদেরা বলেন, শিশুদের ভুল কাজের ক্রমাগত সমালোচনা না করে তাঁরা যেগুলি পারে সেদিকে উৎসাহ দিতে। একই কথা বড়দের জন্য প্রযোজ্য। অন্যের ভাল দিকগুলি দেখতে শিখলে এবং প্রশংসা করতে পারলে মানসিক ভাবে নিজে যেমন ভাল থাকা যায়, তেমনই অন্য মানুষটি ভাল থাকতে পারেন।
৪। সমস্যা নিয়ে ভাবার চেয়ে সমাধান নিয়ে ভাবলেও ভাল থাকার রসদ পাওয়া যায়। ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজি’ নামে জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্ট সেই কথাই বলছে। কোনও সমস্যায় পড়লে, কী হলে কী হত সেটা না ভেবে, বরং কী করা যায় সে দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে।কারও সঙ্গে অশান্তি, তার সমাধান শান্তিপূর্ণ আলোচনায় হতে পারে।
৫। ‘ভাল আছি’, এই বিশ্বাসটা যদি মনে গেঁথে যায়, তা হলেও ভাল থাকা যায়। বিশ্বাসেও অনেক কিছু হয়। সবসময় হাসিমুখে থাকার চেষ্টা করলে, অন্যের মুখেও সেই হাসি কিন্তু ছড়িয়ে পড়ে।