প্রতীকী ছবি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই তাকে দরকার।চা, চায়ের কথা বলছি। একটু মাথা ধরল কী ধরল না, কর্তামশায় ঘর থেকে হাঁক পারলেন, ‘গিন্নি একটু চা হবে?’ চায়ের প্রতি এই যে নিঃশর্ত সমর্পণ, তা থেকেই বোধহয় নেশার দ্রব্য না হয়েও চায়ের নেশা কথাটা রটে গিয়েছে। চায়ের প্রতি আসক্তি আরও বাড়াতে খেতে পারেন অন্য স্বাদের চা।কথা হচ্ছে ভেষজ চায়ের। দিনের মধ্যে যতবার চা খান, তার মধ্যে অন্তত একবার হলেও এই ভেষজ চা খেয়ে দেখুন। স্বাদ তো বদলাবেই, সেই সঙ্গে ভেষজ চায়ের রয়েছে একাধিক গুণ!
তুলসি চা
ঠান্ডা-গরমের মরসুমে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। তবে যদি রোজ এক কাপ করে তুলসি চা খেতে পারেন, তাহলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা কিন্তু অনেকটাই কমবে। একটি পাত্রে জল গরম করে তাতে তুলসি পাতা ফুটিয়ে নিন। তারপর মধু ও লেবু মিশিয়ে নিলেই তৈরি তুলসি চা। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে নিয়মিত তুলসি চা খান, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
দারচিনি চা
শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে চান? তাহলে এই পানীয়টি আপনাকে খেতেই হবে। একটি পাত্রে জল গরম করে দারচিনি গুঁড়ো, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন। তারপর এই চা ছেঁকে খান। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে বাঁচাতে সহায়তা করে। ঋতুস্রাবের সময় পেটে ব্যথা হলে, তা থেকেও আরাম মিলবে এই চা খেলে।
পুদিনা চা
বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন? পুদিনা পাতার চা খান।জল গরম করে তাতে কুচি কুচি করে কয়েকটা পুদিনা পাতা কেটে মিনিট ১৫ ঢাকা দিয়ে রাখুন। পাতা কেটে দিলে পুদিনার গন্ধটা পুরোটাই পাবেন।নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এড়াতেও খেতে পারেন পুদিনা চা। এই চা খেলে নিমেষেই দূর হয়ে যাবে যে কোনও শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, একটানা কাজ করার জন্য মনঃসংযোগ বাড়াতেও সহায়তা করে এই চা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy