বাড়িতে অতিথি আসার আগে ঘরদোর গুছিয়ে নেওয়াটাই রেওয়াজ, কারণ তার উপরেই বাড়ির লোকেদের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। ছিমছাম ঘর, সুন্দর অন্দরসজ্জা বাড়ির সদস্যদের রুচির পরিচয় বহন করে।
বাড়ির অন্দরমহল পরিষ্কারের চোখ এড়িয়ে যায় তিন জায়গা। অতিথি আসার আগে মনে করে সেই স্থানগুলি পরিষ্কার করে নিন।
স্নানঘর: স্নানঘর উপর উপর পরিষ্কার করলেও অনেক জায়গায় নজর এড়িয়ে যায়। কিন্তু ঘর যত সুন্দর করে সাজানো হোক স্নানঘর ভাল যদি ঠিকমতো পরিষ্কার না হয়, তা মোটেই অতিথিদের জন্য সুখকর হবে না। স্নানঘরে ক্যাবিনেট থাকলে তার মাথাগুলি পরিষ্কার করুন। এইসব জায়গায় ধুলো থাকে, টিকটিকির মল পড়ে থাকে। মনে করে স্নানঘরে বর্জ্য ফেলার পাত্রটিও পরিষ্কার করা দরকার। কমোডের ফ্লাশের মাথার অংশ, বেসিন থেকে হ্যান্ড-শাওয়ার সমস্তটাই পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ভ্যাপসা গন্ধ কাটানোর জন্য একটু কর্পূর বা ইপসম সল্টে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে রাখতে পারেন।
রান্নাঘরের ক্যাবিনেট: রান্নাঘরে বাসন রাখার তাকগুলো পাল্লা দিয়ে ঢাকা থাকে বা দেরাজ থাকে বলে সেগুলি আলাদা করে পরিচ্ছন্ন করার কথা মনে হয় না। অতিথি আসার আগে দৃশ্যমান স্থানগুলোর পাশাপাশি আড়ালের অংশগুলিও পরিষ্কার করুন। না হলে রান্নাঘরে আরশোলা, পোকামাকড় উঁকি দিতে পারে, যা সুখকর হবে না। বর্জ্য ফেলার পাত্রটিও মনে করে পরিষ্কার রাখা দরকার। না হলে, সব্জি-মাছের আঁশটে গন্ধ বিরক্তির কারণ হতে পারে।
সোফা: সাধারণত তাড়াহুড়ো করে সোফা পরিষ্কার করে ফেলা হয়। তবে অতিথি আসার আগে ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কারের পাশাপাশি সোফা স্যানিটাইজ় করে নিন। বাইরে থেকে এসে বা দিনভর আরাম করার জন্য সোফাটিকেই বেছে নেন সকলে। ফলে এটি ভীষণ নোংরা হয়। অনেক সময় গায়ের ঘাম লেগে দুর্গন্ধও ছড়ায়। ৫-১০ মিনিটের জন্য বেকিং সোডা ছড়িয়ে রাখুন সোফায়। তার পর ভ্যাকিউম ক্লিনার বা ঝাড়ু দিয়ে তা পরিষ্কার করে নিন। ভ্যাপসা বা বাজে গন্ধ চলে যাবে।