জুলাই শেষ হতে চলল। বর্ষার মেয়াদ আর খুব বেশি দিন নেই। এমন মরসুমে শখের বাগানে কোন গাছ লাগাবেন তা নিয়ে ভাবনা? সব্জি চাষে আগ্রহ থাকলে এমন সময় তিন ধরনের চারা বসাতে পারেন।
পেঁপে: পেঁপে বছরের অন্যান্য সময় যেমন ফলানো যায়, এই সময়েও এই গাছ লাগানো যায়। বর্ষার সময় উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়া থাকে। চারা লাগানোর আগে বুঝে নিতে হবে বর্ষার মরসুমে এবং তার পরের সময়ে বেড়ে ওঠার জন্য কোন প্রজাতির গাছ ভাল। দোআঁশ বা যে মাটি জল বসবে না সেই মাটি এই গাছের জন্য ভাল। বর্ষা কালে চারা বসালে বিশেষ ভাবে দেখা দরকার জল নিষ্কাশন পদ্ধতি যথাযথ আছে কি না। মাটি তৈরির সময় জৈব সার মিশিয়ে নিলে গাছের বৃদ্ধি ভাল হবে। এই গাছ বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোকের প্রয়োজন।
ঢেঁড়স: এমন মরসুমে ঢেঁড়স গাছও লাগাতে পারেন। বীজ ছড়ান বা চারা সেটি যেন ভাল প্রজাতির হয়। গাছ বসানোর আগে মাটি তৈরি জরুরি।এ জন্য ৮-১২ ইঞ্চি টব নিয়ে নিন। এতে দু’টি গাছ বসানো যায়।ঢেঁড়স গাছের গোড়ায় জল জমলে ক্ষতি হবে। ফলে মাটি হওয়া দরকার ঝুরঝুরে। টবের নীচে বালি দিয়ে রাখলে জল জমতে পারবে না। মাটি তৈরির সময় পরিমিত জৈব সার মিশিয়ে নিন।নিম খোল, কম্পোস্ট সার, কোকোপিট মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে পারেন।
কুমড়ো: জুলাইয়ের শেষে মিষ্টি কুমড়োও বসাতে পারেন। মাটি ঝুরঝুরে হওয়া দরকার। শুরুতেই কিছুটা সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করলে ফলন ভাল হবে। টবেই এই গাছ চাষ করা যায়।মাটিতে অ্যাসিডের মাত্রা সামান্য বেশি থাকলেই ভাল। এই গাছের জন্য ৬-৮ ঘণ্টা রোদ প্রয়োজন। গাছের গোড়ায় জল জমলে ক্ষতি হবে। রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। ফলে দেখা দরকার, টবের জল নিষ্কাশনি পদ্ধতি যেন ভাল হয়। গাছ বেড়ে ওঠার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাটছাঁট করলে ফলন বাড়বে। একই সঙ্গে দরকার গাছের গোড়ার অংশের বড় পাতা মাঝেমধ্যে ছেঁটে ফেলা।