অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল, ছোট্ট বাড়ির আনাচ-কানাচ ভরবে রঙিন ফুলে? একফালি জমিতেই ফলবে টম্যাটো, কাঁচালঙ্কা? সেই মতো চারা এনেছেন। নিয়মিত জলও দিচ্ছেন। তবু কোনও গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, কোনওটি নেতিয়ে যাচ্ছে?
বাগানের ক্ষেত্রে ছোটখাটো ভুলও কিন্তু সমস্যার কারণ হতে পারে। কোন ভুল এড়িয়ে চলা দরকার?
ঘেঁষাঘেষি করে চারা রোপণ বা বীজ ফেলা: জায়গা কম বলেই কিন্তু ঘেঁষাঘেষি করে গাছ বসানো যাবে না। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বীজ ছড়ালে সেই জায়গা থেকেই চারা বেরোবে। কিন্তু সেগুলি যদি তুলে নির্দিষ্ট দূরত্বে না রোপণ করা হয়, তা হলে গাছ বেড়ে ওঠার সময় ঠিকমতো আলো-হাওয়া পাবে না। স্বল্প পরিসরে একাধিক গাছ বেড়ে উঠলে মাটি থেকে পুষ্টি শোষণেও সমস্যা হতে পারে। তাই যে গাছ বসাচ্ছেন সেটি কতটা ব়ড় হয়, তা বুঝে তার জন্য যথাযথ জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে।
নানা রকম গাছের ভিড়: স্বল্প পরিসরে বিভিন্ন রকমের গাছ অতিরিক্ত বসালে সমস্যা হতে পারে। এতে বাগান দেখতে কিন্তু মোটেও ভাল লাগবে না। বরং আলো-হাওয়া খেলার পাশাপাশি বাগানে নির্দিষ্ট ফাঁক রাখলে গাছ ভাল ভাবে বাড়বে, দেখতেও ভাল লাগবে।
মাটি: এক এক ধরনের গাছের জন্য এক রকম মাটি, সারের দরকার হয়। গাছের প্রয়োজন অনুযায়ী মাটি প্রস্তুত করতে হবে। মাটি থেকেই গাছ পুষ্টি পায়। তাই প্রয়োজন মতো মাটি না পেলে গাছ ঠিক ভাবে বেড়ে উঠবে না।
জল: গাছের জন্য জল প্রয়োজন হলেও মাটিতে জল বসলে গোড়া পচে যাবে। তাই গাছের গোড়ায় জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা উপযুক্ত হওয়া দরকার। আবার ভিজে মাটিতে নিয়মিত জল ঢাললেও, গাছের ক্ষতি হতে পারে। গোড়ার মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিতে হবে।
সার: গাছের খাবার হল সার। সারের বিভিন্ন ধরন আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সারের পরিমাণ যদি বেশি হয় গাছ শুকিয়ে যেতে পারে, এমনকী মরেও যেতে পারে। নতুন বাগান করলে, অনেক সময় সারের প্রয়োগ নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকে না। কতটা সার দরকার তা বুঝে তা সঠিক উপায়ে মাটিতে দিতে হবে।