Advertisement
০৪ অক্টোবর ২০২৪
How to Repot a Plant

‘রিপটিং’ কী? গাছেদের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বছরের কোন সময়ে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করতে হয়?

পুরনো বাড়ি থেকে ‘লোটাকম্বল’ গুটিয়ে নতুন বাড়িতে যাওয়া যেমন ঝক্কির, তেমনই পুরনো টবে শিকড় গেড়ে বসে থাকা গাছকে উপড়ে টেনে তুলে নতুন জায়গায় বসানোও বেশ কঠিন।

A step-by-step guide for repotting a plant

‘রিপটিং’ করবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৩১
Share: Save:

বাজার থেকে কিনে আনার সময়ে যে টবে চারাগাছটি ছিল, তা বদল করার কথা এত দিন মনে হয়নি। কিন্তু এ বার ভাবতে হচ্ছে। কারণ, গাছ বেড়ে চলেছে তরতরিয়ে। এ আর এমন কী বিষয়! নতুন টব কিনে এনে গাছ বসিয়ে দিলেই হয়। অভিজ্ঞেরা বলছেন, কাজটি ততটাও সহজ নয়। পুরনো বাড়ি থেকে ‘লোটাকম্বল’ গুটিয়ে নতুন বাড়িতে যাওয়া যেমন ঝক্কির, তেমনই পুরনো টবে শিকড় গেড়ে বসে থাকা গাছকে উপড়ে টেনে তুলে নতুন জায়গায় বসানোও বেশ কঠিন। উদ্ভিদবিদ্যার ভাষায় যাকে ‘রিপটিং’ বলা হয়, তার জন্য সব সময়ে গাছেদের ‘ডাক্তার’ ডেকে আনার প্রয়োজন নেই। চাইলে নিজের হাতেই সেই কাজ করে ফেলতে পারেন। তবে তার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন।

নিজে হাতে ‘রিপটিং’ করার আগে কী কী জেনে রাখতে হবে?

১) সঠিক সময়:

বছরের যে কোনও সময় গাছের টব বদলানো যায় না। সাধারণত বর্ষাকালই ‘রিপটিং’ করার আদর্শ সময়। গাছ যদি খুব ছোট হয়, সে ক্ষেত্রে তার পাত্র বদল না করাই ভাল।

২) সঠিক পাত্র:

পুরনো যে টবে গাছটি রয়েছে, তার চেয়ে অন্তত ২-৩ ইঞ্চি বড় মাপের পাত্র নিতে হবে। ‘রিপটিং’ করার আগে দেখে নিতে হবে, পাত্র থেকে জল বেরোনোর ব্যবস্থা যেন থাকে।

৩) ‘পটিং মিক্স’

গাছের ধরন এবং বয়স অনুযায়ী ‘রিপটিং মিক্স’ তৈরি করে রাখতে হয়। মাটির সঙ্গে সঠিক পরিমাণে ভার্মিকম্পোস্ট এবং গোবর মিশিয়ে বাড়িতেই তা তৈরি করে ফেলা যায়। তবে সাকুল্যান্ট প্লান্ট, ক্যাকটাসের ক্ষেত্রে আলাদা পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে।

৪) পাত্র বদল:

মাটির উপরে গাছের যে অংশ থাকে, তা ধরে টানাটানি করলে গাছের ক্ষতি হতে পারে। তাই সে বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। পুরনো টবের চারধারে হালকা করে আঘাত করলে মাটি আলগা হয়ে যাবে। ফলে গাছ তুলে আনার কাজটিও সহজ হয়ে যায়।

৫) শিকড় ‘কাটিং’

নতুন পাত্রে গাছ বসানোর আগে ভাল করে দেখে নিতে হবে শিকড়ের স্বাস্থ্য। শিকড়ের কোনও অংশ পচে গেলে তা বাদ দিতে হবে। জড়িয়ে-পেঁচিয়ে থাকা শিকড়ের শাখা-প্রশাখা যত্ন করে খুলে দিতে পারলে ভাল হয়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, প্রধান মূলটিতে যেন আঘাত না লাগে।

৬) নতুন টবে ‘পটিং মিক্স’:

নতুন টবে গাছ বসানোর আগে তার মাটি প্রস্তুত করে নেওয়া প্রয়োজন। যে কোনও ধরনের সার সাধারণত গাছের উপর থেকে ছড়ানো হয়। কিন্তু, ‘রিপটিং’-এর ক্ষেত্রে টবের একেবারে নীচের স্তরে ‘পটিং মিক্স’ দিয়ে তার পর কিছুটা মাটি দেওয়াই ভাল। তাতে নতুন পরিবেশের সঙ্গে গাছের মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে। এ বার শিকড়-সহ গাছ নতুন টবে বসানো যেতে পারে।

৭) পর্যাপ্ত জল:

নতুন টবে গাছ বসানোর পর অল্প জল দিতে হবে। না হলে গাছের শিকড় সঠিক ভাবে মাটি আঁকড়ে ধরতে পারবে না। তবে জলের পরিমাণ যাতে বেশি না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত জল যাতে পাত্রের তলা দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, সেই বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।

৮) সঠিক জায়গা:

সরাসরি রোদ, বৃষ্টির ছাট আসে, এমন জায়গায় ‘রিপটিং’ করা গাছটিকে রাখা যাবে না। স্বাভাবিক আলো-হাওয়া পেলেই নতুন পাত্র কিংবা মাটির সঙ্গে তার মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Plant Nursery Repot Monsoon
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE