নিয়মিত স্নানঘর পরিষ্কার করেন? তা-ও কিন্তু চোখের আড়ালে রয়ে যেতে স্নানঘরের কোনও কোনও অংশ। কল, দেওয়াল, বেসিন, রড— পরিষ্কার করলেও এমন কিছু জায়গা রয়ে যায়, যেগুলি সচরাচর কেউ পরিষ্কার করেন না। অথচ মাসে এক বার সেই জায়গাগুলি মোছমুছি করা উচিত।
জানলা, দরজা: স্নানঘরের জানলা, দরজাগুলি সচরাচর কিন্তু পরিষ্কার করেন না কেউ নিয়মিত। অথচ জানলার গ্রিলে, সংলগ্ন জায়গায় বাইরের ধুলো ঢোকে প্রচুর পরিমাণে। স্নানঘরের দরজায় সাবান, জলের ছিটে লেগে পুরু ময়লা জমে যায়।
স্নানঘরের ঘুলঘুলি, পাখা: স্নানঘরের ঘুলঘুলি, এক্সজ়স্ট ফ্যানের ফোকরগুলিতেও কম ধুলো-ময়লা জমে না। মাসে অন্তত একটি দিন সময় করে এই জায়গাগুলি পরিষ্কার করা দরকার।
শাওয়ার: শাওয়ারের মুখের সূক্ষ্ম ছিদ্রগুলি জলে থাকা আয়রন, ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যায়। ময়লা জমতে জমতে জলের প্রবাহ কমে যায়। তাই মাসে এক বার হলেও শাওয়ারের মুখ পরিষ্কার করা উচিত।
বর্জ্য ফেলার জায়গা: স্নানঘরের বর্জ্য ফেলার জায়গাটিও কিন্তু মনে করে পরিষ্কার করা দরকার। পরিচ্ছন্নতার অভাবে তা থেকে যেমন বিশ্রী গন্ধ ছড়াতে পারে, তেমনই, রোগ সংক্রমণও হতে পারে।
স্নানঘর পরিষ্কারের ব্রাশ: স্নানঘরের আনাচকানাচ পরিষ্কারের ব্রাশ, তোয়ালেগুলিও কিন্তু সময় নিতে ভাল করে পরিষ্কার করে রাখা উচিত। নোংরা ব্রাশ স্নানঘরে রাখা থাকলে দেখতে বিশ্রী লাগবে, দুর্গন্ধ বেরোবে।