বাড়ির বাথরুম যদি খোলামেলা এবং পরিচ্ছন্ন না থাকে, তা হলে তা নানা ভাবে দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অথচ বাথরুমে সময়ের সঙ্গে নানা জিনিসের পাহাড় তৈরি হয়। খেয়াল না রাখলে তখন বাথরুম ঠিকমতো ব্যবহার করা যায় না। এ ক্ষেত্রে কখন বাথরুম থেকে বাড়তি জিনিসপত্র বার করা উচিত, তা বোঝার জন্য কয়েকটি পরিস্থিতি জেনে রাখলে সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন:
১) বাথরুমে বেসিনের আশপাশে বা অন্য কোনও আসবাবে খুব বেশি জিনিস রাখা উচিত নয়। অনেক সময়ে ড্রয়ারগুলি ভর্তি হয়ে গেলে তখন বেসিনের চারপাশে জিনিসপত্র জমতে শুরু করে। তবে সেখানে টুথব্রাশ, টুথপেস্ট এবং সাবান এবং একটি ছোট তোয়ালে ছাড়া আর কিছু রাখা উচিত নয়।
২) যদি কখনও বাথরুমে পোশাক পরিবর্তন করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা না থাকে, তা হলে বুঝতে হবে বাড়তি জিনিস বেড়েছে। হতে পারে একাধিক বালতি বা সাবানের প্যাকেট বাথরুমে রাখা হয়েছে। অনেক সময়ে ব্যবহৃত পোশাকও বাথরুমে রাখা হয়। সময়ের সঙ্গে তাই সেখানে জায়গা কমে আসে।
৩) অনেক সময়ে বাথরুমে একই জিনিস বেশি করে রাখা হয়। যেমন সাবান, শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারের একাধিক বোতল রাখা থাকে। একাধিক তোয়ালেও দেখা যায়। বাথরুমে পর্যাপ্ত জায়গা বজায় রাখতেএই অভ্যাসে বদল আনা উচিত। প্রয়োজনীয় জিনিসের সংখ্যা না বাড়ানোই ভাল।
৪) অনেক সময়ে বাথরুম পুরনো সাবান, শ্যাম্পু বা ক্রিমে ভরে থাকে। সেগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কি না, সেটাও দেখা হয় না। তাই বাথরুমে ‘আবর্জনা’ও বাড়তে থাকে। নিয়মিত বাথরুমের বিভিন্ন জিনিসের মেয়াদ পরীক্ষা করা উচিত। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে, সেগুলি বাতিল করে দেওয়া উচিত।
৫) বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। ভিতরের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা উচিত। অন্যথায় সময়ের সঙ্গে বাথরুমে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংখ্যা বাড়তে থাকে।