পুজোর আগে বদলে ফেলুন বারান্দার ভোল। ছবি: শাটারস্টক।
সামনেই পুজো। পুজোয় কেবল নিজের সাজগোজ নিয়েই মাথা ঘামালে হবে না। বাড়িকেও সুন্দর করে সাজাতে হবে বইকি। মনখারাপ হলে বাড়ির বারান্দায় গিয়ে অনেকটা সময় কাটে অনেকের। সকালের প্রথম চা-টা বারান্দায় বসে না খেলে অনেকেরই দিনের শুরুটা ভাল হয় না। ছুটির দিনে বিকেলের পড়ন্ত রোদে বারান্দায় বসে গল্পের বই পড়া কিংবা গান শুনতে ভালবাসেন অনেকেই। অথচ ঘর সাজানোর প্রসঙ্গ উঠলে বাড়ির এই অংশটির কথা আমাদের মনে থাকে না! তবে অবসর সময় কাটানোর এই ঠিকানাটির ভোল পাল্টে দিতে পারেন খানিকটা সময় খরচ করেই। কী ভাবে করবেন ছোট্ট বারান্দার ভোলবদল, রইল তার হদিস।
১) বারান্দায় বসে গল্প করতে বা চা-কফি খেতে কমবেশি সবারই ভাল লাগে! তাই বারান্দায় একটা বসার ব্যবস্থা অবশ্যই করবেন। ছোট্ট টেবিল আর দু’টি ছোট চেয়ার পাততে পারেন। জায়গা খুব ছোট হলে ফোল্ডিং চেয়ার-টেবিল কিনুন। তার সঙ্গে রঙিন কুশন। বারান্দা বড় হলে একটা দোলনাও ঝোলাতে পারেন।
২) বারান্দাটি রঙিয়ে তুলুন রংবেরঙের ফুলের গাছ দিয়ে। মরসুমি ফুলের গাছ লাগালে দেখতে সুন্দর লাগবে। তা ছাড়াও বোগেনভিলিয়ার মতো লতানো ফুলের গাছও লাগাতে পারেন। মানিপ্ল্যান্ট নিয়ে বারান্দার গ্রিলে জড়িয়ে ফেলতে পারেন, দেখতে বেশ ভাল লাগবে।
৩) বেশির ভাগ ফ্ল্যাটেরই বারান্দা খুব বেশি বড় হয় না। তাই সাজানোর জন্য বারান্দার মেঝেতে খুব বেশি জিনিস দিয়ে জায়গা ভর্তি করে লাভ নেই। বদলে ছবি, আয়না বা ঘর সাজানোর জিনিস দিয়ে সাজানো তাক, ওয়াল হ্যাঙ্গিং ঝোলাতে পারেন। খুদের আঁকা ছবিগুলি বাঁধিয়েও সাজিয়ে তুলতে পারেন বারান্দা।
৪) আলো দিয়ে বারান্দা সাজিয়ে তুলতে পারেন। টুনি লাইট দিয়ে সাজান। কৃত্রিম মোমবাতি দিয়েও সাজাতে পারেন। ছোট্ট ল্যাম্পশেড রাখলেও বেশ স্বপ্নিল পরিবেশ তৈরি হবে। পুজোর সময় সন্ধ্যার আড্ডা জমবে এখানেই।
৫) কৃত্রিম ঘাস লাগিয়ে অনেকেই এখন বারান্দাটা বাগানের মতো সাজান। পুরোটা না করলেও একটা দিক এ ভাবে সাজাতে পারেন। পাশে কিছু নুড়িপাথর ছড়িয়ে দিন। বসার জায়গায় কৃত্রিম ঘাসের কার্পেট পেতে দিন বারান্দায়। অনলাইনে এ রকম কার্পেট পেয়ে যাবেন আপনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy