মাংস হোক বা ডিমের পোচ, উপর থেকে সামান্য গোলমরিচ ছড়িয়ে দিলে বদলে যায় স্বাদ। মশলার জগতে গোলমরিচের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। শুধু এ দেশে নয়, বিশ্বের বহু দেশেই গোলমরিচ খাওয়ার চল।
এমনিতে এই মশলা সহজলভ্য। তবে এর চাষ হয় মূলত দক্ষিণ ভারতে। কেরল-সহ একাধিক রাজ্যে গোলমরিচ বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করা হয়। তবে শখ থাকলে গাছ বসাতে পারেন নিজের বাগানেও। গরমকাল চারা বড় করার সময়। তবে শীতেও গাছ বসানো যায়। কারণ, এই গাছ বেড়ে ওঠার আদর্শ তাপমাত্রা ২৩- ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ১০ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা এই গাছের পক্ষে সহনীয়।
আরও পড়ুন:
চারা: ভাল মানের চারা থেকে গোলমরিচের গাছ বড় করা তুলনামূলক সহজ। সাধারণত ফল ধরতে ৩-৪ বছর লেগে যায়। ৮-১০ বছরে গাছ পূর্ণবয়স্ক হয় এবং ফলন ভাল হয়। তবে কিছু কিছু প্রজাতি রয়েছে, যাদের এর চেয়েও কম সময়ে ফলন হয়।
মাটি: কেরল এবং তামিলনাড়ুতে এই গাছের চাষ সবচেয়ে ভাল হয়। টবে তাই কিছুটা মোরাম মাটি দিতে পারলে ফলন ভাল হবে। ২ ভাগ গোবর সারের সঙ্গে ১ ভাগ মোরাম মাটির সঙ্গে ১ ভাগ সাধারণ বাগানের মাটি মিশিয়ে নিতে হবে। টব মাঝারি মাপের হলেই ভাল। জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল হওয়া দরকার। পিএইচের মাত্রা ৫.৫-৬ হলেই ভাল।
গাছটি লতানে। তাই গাছ বেড়ে ওঠার জন্য কঞ্চি বা বাঁশ রাখুন।
সূর্যালোক: শীতের মরসুমে বসালে গাছ সূর্যালোকে রাখা যায়। তবে, তাপমাত্রা যদি ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে চলে যায়, পাতা নষ্ট হতে পারে। তবে জুন-জুলাই নাগাদ গাছ বসালে হালকা ছায়া পড়ে, এমন জায়গায় রাখতে পারেন গাছটি। চড়া রোদে বা বেশি তাপে গাছের পাতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ ভারতে গোলমরিচ চাষের সময় তা বড় গাছকে বেষ্টন করে ওঠে। ফলে আলো-ছায়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়।
জল: মাটির টবের উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে। মাটি হতে আর্দ্র তবে জল জমা চলবে না। জল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল বেরিয়ে যাবে এমন ভাবেই মাটি তৈরি করতে হবে। না হলে শিকড় পচে যাবে।
সার: গাছ বেড়ে ওঠার সময় জৈব সার প্রয়োগ করতে পারেন। ভার্মি কম্পোস্ট মাসে এক বার দেওয়া যায়।
ফলন: গাছের চারা, প্রজাতির উপর ফলন নির্ভর করে। মোটামুটি ২-৩ বছরের মধ্যে ফলন সম্ভব।