গ্রীষ্মের ফল লিচু। সে সব এখন খাওয়া হয় বাজার থেকে এনে। লিচু বাগান, বড় বড় গাছ— সে সব এই প্রজন্মের অনেকে দেখেইনি। কচিকাঁচারা ঠাকুরদা, ঠাকুরমার মুখে গাছ থেকে ফল পাড়ার গল্প শুনলেও, চোখে সে সব দেখেনি। তবে খুদেকেও তেমন অভিজ্ঞতা দিতে চাইলে বাড়িতে টবেই ফলাতে পারেন লিচু। বাগানের লিচু গাছ বিশাল বড় হলেও, টবে ছোট গাছ করা যায়।
লিচুর চারা: বীজ থেকে চারা বের করার খাটনি অনেক। তার চেয়ে ভাল নার্সারি থেকে ভাল মানের চারা নিয়ে আসা। চারা ভাল হলে ফলও ভাল হবে।
আরও পড়ুন:
সঠিক পাত্র: লিচু গাছের জন্য শক্তপোক্ত এবং বড় টব দরকার। গাছ ছোট থাকলে ১০-১২ ইঞ্চি ব্যাসের টব হলেই চলবে। তবে ফল ধরলে এবং গাছ একটু বড় হলে ১৮-২৪ ইঞ্চির টব প্রয়োজন।
মাটি: গাছ মাটি থেকেই পুষ্টি পাবে। তাই মাটি সঠিক ভাবে তৈরি করা জরুরি। ৪০ শতাংশ বাগানের মাটির সঙ্গে ৪০ শতাংশ ভার্মি কম্পোস্ট, ১০ শতাংশ বালিমাটি এবং ১০ শতাংশ ধানের চিটে নিয়ে নিতে হবে। যোগ করতে হবে একমুঠো করে নিম এবং সর্ষের খোল।
সঠিক ভাবে বসাতে হবে: চারা টবে সঠিক ভাবে বসাতে হবে। লিচু চারা বসানোর জন্য একটু বড় করে গর্ত খুঁড়তে হবে। গাছ বসিয়ে হালকা জল দেওয়া জরুরি।
জল: লিচু গাছের গোড়ায় জল জমলে শিকড় পচে যেতে পারে। সে কারণে মাটির জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল হওয়া প্রয়োজন। টবের মাটি শুকিয়ে গেলে জল দিন। খেয়াল রাখতে হবে বৃষ্টি হলে যেন টবে জল না জমে থাকে।
সার: গাছকে খাবার না দিলে তা ঠিকমতো বেড়ে উঠবে না। বছর অন্তত চার বার জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। নিম খোল, সর্ষের খোল ছাড়াও হাড়গুঁড়ো, সিং কুচির মতো সার গাছ বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
ছাঁটতে হবে: সঠিক উপায়ে গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়া জরুরি। এতে গাছ যেমন অতিরিক্ত লম্বা হয়ে যাবে না তেমনই ফল ধরার সম্ভবনা বাড়বে। গাছের পুরনো ডাল ছেঁটে দিলে ফলন ভাল হবে।
ফল: ফল কতদিনে আসবে তা নির্ভর করে পরিচর্যা এবং পরিবেশের উপর।