শখ করে, অর্থ ব্যয় করে ঘর সাজিয়েছেন কাঠের আসবাবে। অথবা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া চেয়ার, টেবিল, খাট। কিন্তু যত্ন না করলে ক্ষয় হতে বেশি সময় লাগে না। ঘরের শোভাও নষ্ট হতে থাকে। বিশেষ করে বর্ষায় কাঠের আসবাবে ছাতা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই নিয়মিত পরিষ্কার করার দায়িত্ব আপনারই। কাঠের আসবাবপত্র যে কোনও বাড়ির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে। আর সে সব রক্ষার্থেই যত্ন করার কৌশল জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ভিন্টেজ টেবিল হোক বা আপনার প্রিয় কাঠের আলমারি, সামান্য রক্ষণাবেক্ষণে অনেক লাভবান হতে পারেন।
কাঠের আসবাবপত্র পরিষ্কার করার ৫টি সহজ টিপ্স—
১. নিয়মিত ধুলো পরিষ্কার করতে হবে: কাঠের পৃষ্ঠতলের উপরের দিকে ঘন ঘন ধুলো পড়ে যাতে কাঠে আঁচড় না তৈরি হয়, তার জন্য আলগা করে রোজ ঝেড়ে নিতে হবে। মাঝে মাঝে নরম মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করুন, যা ধুলো জমা রোধ করে। পাশাপাশি, বর্ষায় কাঠে আর্দ্রতা ধরে রাখতে বাধা দেয়।
নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে কাঠের আসবাবপত্র। ছবি: সংগৃহীত।
২. মৃদু ক্লিনার ব্যবহার করতে হবে: মৃদু ক্লিনার দিয়ে কাঠের আসবাবপত্র পরিষ্কার করা দরকার। হালকা সাবান বা ভিনিগার জলে মিশিয়ে নিন৷ তবে নাছোড় দাগের জন্য বেকিং সোডার পেস্ট বা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন জলের সঙ্গে। দেখবেন, ক্লিনার যেন বেশি ক্ষণ না থাকে। কাঠ নয়তো জল শোষণ করে ফেলবে। তাই ক্লিনার দিয়ে মোছার পরই শুকনো কাপড় বুলিয়ে নিতে হবে।
৩. ছাতা পড়লে বিশেষ যত্ন নিতে হবে: স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় কাঠের আসবাবপত্রে ছত্রাক সৃষ্টি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নরম ব্রাশ দিয়ে প্রথমে ঝেড়ে নিন। তার পর হালকা গরম জল এবং সাবানের মিশ্রণ অথবা জল এবং সাদা ভিনিগারের মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার করুন। যদি তাতেও না ওঠে, তা হলে বোরাক্স দ্রবণ ব্যবহার করতে পারেন। শেষে শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং শুকোতে দিন। ছত্রাক পরিষ্কার করার সময় সব সময়ে গ্লাভস এবং মাস্ক পরতে হবে।
আরও পড়ুন:
৪. মোম দিয়ে পালিশ করতে হবে: কাঠ পরিষ্কার এবং সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে, ওয়াক্স পেস্ট অথবা প্রোটেক্টিভ পালিশের একটি পাতলা স্তর প্রয়োগ করুন আসবাবের উপর। এর ফলে নতুনের মতো ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাবে কাঠের চেয়ার-টেবিল। তা ছাড়া আর্দ্রতা বাধাপ্রাপ্ত হয় এই স্তরের কারণে। ভবিষ্যতে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে এই কৌশল।
৫. আর্দ্রতা রোধ করতে হবে: বর্ষায় রোদের দেখা নেই? তা হলে ডিহিউমিডিফায়ার বা এয়ার কন্ডিশনারের সাহায্যে ঘরে সঠিক ভাবে বায়ু চলাচল করার বন্দোবস্ত করতে হবে। দেখতে হবে, যাতে ঘরের আর্দ্রতা ৪০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশের উপরে না যায়। কাঠের আসবাবপত্র স্যাঁতসেঁতে দেওয়াল স্পর্শ করিয়ে রাখবেন না। যেখানে ভাল হাওয়া খেলে, তেমন জায়গাই উপযুক্ত।