পুজো-পার্বণে চালের গুঁড়ো দিয়ে আঁকা আলপনা এখন ফিরে এসেছে নতুন আঙ্গিকে, নতুন রূপে। মেঝে, সিঁড়ি, বাড়িতে প্রবেশের মুখে এমনকী রাস্তাতেও দেখা যাচ্ছে আলপনা। সেই আলপনা দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেবরিক রং। এমনকী দেওয়ালের রং-ও কেউ কেউ ব্যবহার করছেন।
সিঁড়ি জুড়ে ফুলপাতার নকশা আঁকার বদলে, অনেকে তুলির টানে তৈরি করছেন গল্প। সে সব দেখতে সুন্দর ঠিকই। কিন্তু মুশকিল হয়, মুছতে মুছতে সেই রং যখন উঠতে শুরু করে। হাতে মেহেন্দি করলে দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু মেহেন্দির রং যখন উঠতে শুরু করে, দেখতে মোটেও ভাল লাগে না। এ-ও ঠিক তেমনই।
কোনও অংশ হালকা হয়ে যায়, কোনও রং গাঢ় হয়ে বসে থাকে। আবার পরের বছর যে সেখানে নতুন আলপনা দেবেন, তা-ও সম্ভব হয় না। কারণ, আগের আলপনা পুরোপুরি না ওঠা পর্যন্ত সেখানে নতুন কিছু আঁকা সম্ভব নয়। এই সমস্যার সমাধান হবে কী ভাবে?
১। দেওয়ালের রং ব্যবহার করলে, তা তোলা সত্যি কঠিন। তবে ফেবরিক রং তোলা অপেক্ষাকৃত সহজ। সাধারণত, লাল বা কালো সিমেন্টের মেঝেতেই এই ধরনের আলপনা দেওয়া হয়। আলপনা তোলার জন্য প্রথমে ধারালো কোনও কিছুর সাহায্যে রং তোলার চেষ্টা করুন। তার পর তারপিন তেল দিয়ে ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর বাসন মাজার স্ক্রাব দিয়ে তা ঘষতে হবে। সবশেষে সাবান জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
২। আলপনা একেবারেই উঠতে না চাইলে ব্যবহার করতে হবে মেঝে পরিষ্কারের অ্যাসিড। খুব সাবধানে তা ব্যবহার করতে হবে হাতে দস্তানা পরে। কিছুটা অ্যাসিড আলপনার উপর ছড়িয়ে দিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর স্পঞ্জ বা কড়া স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে দিন। আস্তে আস্তে দাগ উঠে যাবে। তবে অ্যাসিডের ব্যবহারে মেঝের ক্ষতিও হতে পারে। টাইলস অথবা মার্বেলের মেঝে হলে এই ভাবে পরিষ্কার না করাই ভাল।
৩। ভিনিগারে বেকিং সোডা মিশিয়ে দিন। ঘন মিশ্রণটি আলপনার উপর ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তার পর ভাল করে ঘষে দিন। শেষে সাবান জল দিয়ে ধুতে হবে। একবারে দাগ না উঠলে কয়েক বার ব্যবহারে সেই দাগ উঠে যাবে।