শখের সব্জি বাগানে কাঁচালঙ্কা, টম্যাটো, পালংশাক — সবই ফলেছিল। কিন্তু টানা কয়েকদিন বৃষ্টিতেই বদলে গিয়েছে বাগানের ছবি। রোদ উঠলেও, কাঁচালঙ্কা পচে গিয়েছে। গাছের পাতা ঝরছে?
যাঁরা বাগান করেন বা ফসল ফলান— তাঁরা বলেন, মরসুম অনুযায়ী বাগানের পরিচর্যায় বদল দরকার। বিশেষ মরসুমের সব্জি নিয়ে আগাম ভাবনা না থাকলে গাছ এবং ফলন দুই-ই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বর্ষায় যেমন আলাদা করে জল দিতে হয় না, সরস মাটিতে দ্রুত গাছ বাড়ে, তেমনই টানা বৃষ্টি বা গাছের গোড়ায় জল জমলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। শিক়ড় পচে যেতে পারে। স্যাঁতসেতে আবহাওয়ায় রোগের আক্রমণও বেড়ে যেতে পারে। বর্ষার সব্জি বাগান ভাল রাখতে তিন কৌশল জরুরি।
আরও পড়ুন:
১। বাগানে যদি জল জমে তা হলে টবগুলি উঁচু স্থানে রাখুন। স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন। না হলে ইটের উপর টব রাখুন। এতে জল বসতে পারবে না টবের গোড়ায়। বর্ষার শুরু থেকেই গাছের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থাটি কার্যকর কিনা দেখা দরকার। যদি টবের গোড়ায় জল জমতে থাকে, তা হলে দ্রুত তা ফেলে দিতে হবে। মাটি খুঁড়ে আলগা করে দিতে হবে। টবের নীচের ছিদ্রটি কাদায় বন্ধ হয়ে গেলে সেটিও পরিষ্কার করে দেওয়া দরকার। এতে জল দ্রুত বেরিয়ে যাবে।
২। বর্ষায় সব্জি চাষের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা জরুরি। পালং, অমরনাথ এই ধরনের গাছগুলি বর্ষার জন্য ভাল। আবার আলু, টম্যাটো, গাজরের মতো সব্জি ভিজে মাটি বা স্যাঁতসেতে আবহাওয়ার জন্য বিশেষ আদর্শ নয়।
৩। বর্ষার সময় কোনও কোনও গাছের গোড়া খড়, শুকনো পাতা দিয়ে ঢেকে রাখলে যেমন মাটির ধুয়ে যাওয়া আটকানো যায়, তেমনই গাছের গোড়ায় জলও জমতে পারে না। অতিরিক্ত আর্দ্রতা টেনে নিতেও শুকনো পাতা অনেক সময় সাহায্য করে। তা ছাড়া গাছ যেদিকে ইচ্ছা ডানা মেললেও সমস্যা। বৈজ্ঞানিক ভাবে গাছের কাটছাঁটও জরুরি।