নামেই ‘রেড কার্পেট’। আসলে মেট গালায় তারকারা যে গালিচার উপর দিয়ে হাঁটলেন তার রং মোটেই লাল নয়। বরং বেশ ঘন নীল। সেই নীলও আবার ঢালাও নীলবর্ণ নয়। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, সমুদ্রের জল। কোথাও গাঢ়, কোথাও আবার সামান্য হালকা। তার উপরে ঢেউয়ের দাগ। খানিকটা মাঝসমুদ্রের স্থির জলের মতো। সেই জলে ছড়িয়ে আছে অজস্র ফুল। তার পাপড়ি সাদা, বৃন্ত কমলা রঙের। তবে কি মেট গালার কার্পেটে সমুদ্রের জলে শিউলি ফুল ছড়িয়ে আছে? নাহ্, ফুলগুলি ড্যাফোডিল। খাঁটি বিদেশি। তবে কার্পেটটি বোনা হয়েছে খাস ভারতেই।
২০২৩ সাল থেকে মেটগালার জন্য কার্পেট বানাচ্ছে নেইট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
কেরলের অ্যালেপ্পির সংস্থা ‘নেইট’ ওই কার্পেট বুনেছে। মঙ্গলবার ওই কার্পেট গোটা বিশ্বের নজর কাড়ার পরে একটি ভিডিয়ো নিজেদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে নেইট লিখেছে, ‘‘বিশেষ কিছু নয়, শুধু কার্পেটটি আমাদের তৈরি করা। এই নিয়ে তৃতীয় বার মেট গালার সঙ্গে কাজ করলাম। আমাদের দেশের জন্যও এটা গর্বের বিষয়।’’
২০২৩ সাল থেকে মেটগালার জন্য কার্পেট বানাচ্ছে নেইট। এ বছরেও তাদের কাছেই গিয়েছিল কার্পেট তৈরির বরাত। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা মেটগালাকে যে কার্পেটটি দিয়েছিল সেটা ছিল ‘ফাঁকা ক্যানভাস’। নেইটের কথায়, ‘‘কার্পেটের ফুলের নকশার কৃতিত্ব আমরা নেব না। আমরা ওদের ফাঁকা ক্যানভাস অর্থাৎ সাদা কার্পেট দিয়েছিলাম। মেট গালার শিল্পীরা তার উপর হাতে এঁকে ওই নকশা করেছেন। যা দুর্দান্ত দেখতে লাগছে।’’
মেট গালার নীল গালিচায় শাহরুখ খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
নেইটের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের নীচে অনেকেই তাঁদের কাজের প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ এ-ও লিখেছেন যে, “ভারতীয় কাজ বিদেশে সমাদর পাচ্ছে দেখে ভাল লাগছে। তোমরা তোমাদের কাজ চালিয়ে যাও।”