বাড়িতে ছোট ক্যাকটাস ফলানো বেশ সহজ। এমন কিছু ক্যাকটাস আছে যাতে নানা রঙের ফুল ধরে। বাড়ির বারান্দায় ছোট টবেও দিব্যি ফলানো যায়। ফুল গাছ দিয়ে বারান্দা তো সাজানই, এ বার বাড়ির অন্দরমহল সাজুক কাঁটা গাছ দিয়েই। এর পরিচর্যার ঝক্কিও কম।
ক্যাকটাসের রকমফের, কী কী কিনতে পারেন?
মামিলারিয়া: পাতার আকার গোলাকার হয়। ছোট ছোট ফুল ফোটে এই ক্যাকটাসে। সাধারণত গাছের মাথার দিকে রিংয়ের মতো করে ফোটে ফুল।
রেবুইয়া: ছোট গোলাকার। ঝোপের মতো জন্মায়। এদের ফুল উজ্জ্বল রঙের হয়। বড় বড় ফুল ফোটে গাছে।
ওল্ড লেডি ক্যাকটাস: এই ক্যাকটাস বালিতেই ভাল হয়। ২৫০ প্রজাতির ওল্ড লেডি ক্যাকটাস পাওয়া যায়। বসন্তে গোলাপি ও বেগুনি ফুল ফোটে এই ক্যাকটাসে।
হেনস অ্যান্ড চিকস: একসঙ্গে ঝোপের মতো জন্মায় এই ক্যাকটাস। ফুলগুলি বড় বড় অনেকটা পদ্ম ফুলের মতো দেখতে হয়।
ব্যারেল ক্যাকটাস: এর গোল আকারের জন্য এ রকম নাম। মে-জুন মাসের পর থেকে লাল, হলুদ ফুল ফোটে।
ক্যাকটাস লাগানোর পদ্ধতি
ক্যাকটাসের জন্য এমন পাত্র বেছে নিন যাতে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভাল। অতিরিক্ত জল জমে থাকলে ক্যাকটাসের শিকড় পচে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
টেরাকোটার পাত্র ক্যাকটাসের জন্য ভাল। এই পাত্রে মাটির জল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়, হাওয়া চলাচলও ঠিকমতো হয়।
মাটির জন্য সাকুলেন্ট মিক্স কিনলে ভাল হয়। নিজে থেকে মাটি তৈরি করতে হলে তাতে ৫০ শতাংশ কোকোপিট, ২৫ শতাংশ বালি, ২৫ শতাংশ ছোট নুড়ি বা পাথরের মিশ্রণ নিতে হবে। পাত্রের নীচে প্রথমে অল্প পরিমাণে ক্যাকটাস মিক্স দিতে হবে। তার পর গাছ বসিয়ে চারপাশে মাটি দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ক্যাকটাসের গোড়ার অংশ যাতে মাটির নীচে চাপা না পড়ে যায়। গোড়ার অংশ মাটি থেকে সামান্য উপরে রাখুন।
ক্যাকটাস পোঁতার সঙ্গে সঙ্গে জল দেবেন না। ২-৩ দিন পরে জল দিতে হবে, এতে গাছের বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হবে। ক্যাকটাস প্রচুর আলো পছন্দ করে। আপনার বাড়ির যে জায়গাটিতে রোদ বেশি আসে, সেখানেই গাছ রাখুন। ক্যাকটাসে খুব বেশি সারের প্রয়োজন হয় না, অল্প নাইট্রোজেনযুক্ত সার ব্যবহার করতে পারেন।
ক্যাকটাসে সাধারণত খুব বেশি পোকামাকড়ের উপদ্রব হয় না। তবে, মিলিবাগ বা স্পাইডার মাইটের আক্রমণ হতে পারে। এমন হলে নিম তেল স্প্রে করতে পারেন।