কারও বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই নজরে আসে দেওয়ালের সাজগোজ। দেওয়ারলের রং, সাজের উপর নির্ভর করে ঘরের শোভা। নামীদামি সংস্থার আসবাবপত্র, কার্পেট, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ঝারবাতি— সবই ফিকে হয়ে যায় দেওয়ালসজ্জা ঠিক না হলে। ঘরকে নজরকাড়া করতে হলে দেওয়ালের রং বাছাই থেকে দেওয়াল সাজানোর প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে খুব মন দিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। ঘরের সাজে বৈচিত্র আনতে হলে দেওয়ালের সাজসজ্জায় পরিবর্তন করতে হবে সবার আগে। প্রতিটি ঘরের দেওয়ালের সাজের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখাও জরুরি। কী ভাবে দেওয়ালে কারসাজি করে ঘরের ভোল বদলে দিতে পারেন, রইল হদিস।
আরও পড়ুন:
১. জীবনের সেরা মুহূর্তগুলিকে ফ্রেমবন্দি করে সাজিয়ে তুলতে পারেন ঘর। শোয়ার ঘর হোক কিংবা বসার ঘরের কোনের দেওয়ালটি— পছন্দের বেশ কিছু ছবি ফ্রেম করিয়ে ঝুলিয়ে দিন দেওয়ালে। তবে মনে রাখবেন, ফ্রেমগুলির মাপ যেন একে অপরের থেকে আলাদা হয়।
২. আয়না হল এমনই এক ঘর সাজানোর উপকরণ, যা দিয়ে খুব সহজেই ঘরের রূপ বদলে ফেলা যায়। সেকেলে ডিজাইন থেকে আধুনিক কায়দা— পছন্দ মাফিক কিনে নিতে পারেন নানা রকমের আয়না। শোভা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেওয়ালসজ্জায় আয়না ব্যবহার করলে ছোট ঘরও বড় দেখায়।
৩. ওয়াল পেপার দিয়ে দেওয়াল সাজানোর চল নতুন নয়। তবে এখন বাজারে ওয়াল পেপার পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের। দেওয়ালের আকৃতি এবং ঘরের সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওয়াল পেপার বাছাই করে ফেলতে পারেন। বসার ঘরে একটি দেওয়াল বেছে নিয়ে সেঁটে দিতে পারেন ওয়াল পেপার, ঘরের সাজে বদল আনতে এই একটা টোটকাই যথেষ্ট।
কী ভাবে দেওয়ালে কারসাজি করে ঘরের ভোল বদলে দিতে পারেন, রইল হদিস। ছবি: সংগৃহীত।
৪. বাজারে এখন অনেক ধরনের ওয়াল স্টিকার পাওয়া যায়। দেওয়ালসজ্জার জন্য সেরকম স্টিকারও কিনে ফেলতে পারেন। তবে সেই সব স্টিকার পরে তুলতে গিয়ে দেওয়ালের ক্ষতি হবে কি না আগে থেকে তা যাচাই করে নিন।
৫. দেওয়াল জুড়ে ছোট-বড়-মাঝারি মাপের তাক করিয়ে নিতে পারেন। সেই সব তাকে বাড়ির খুদের হাতের তৈরি কোনও ছবির ফ্রেম রাখতে পারেন। পছন্দের শোপিস, মোমদানি কিংবা গাছও রাখতে পারেন।