প্রতীকী ছবি
এক সময়ে বছরের বিশেষ কয়েকটি দিন থাকত ঝুল ঝাড়ার জন্য। পুজোর আগে সারা বাড়ি সাফ করা হত। নতুন বছরের আগেও তা-ই। মাঝেমধ্যে অন্যান্য উৎসবের আগেও দিন নির্ধারণ করা হত শুধু ঘর সাফাইয়ের জন্য। ঘরে সে দিন রান্নাবান্নার ঝক্কি কম রাখা হত। সেদ্ধ ভাত খেয়ে ঘর পরিষ্কার করাই ছিল দিনের কাজ। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। গিন্নিদের রোজনামচাও আর আগের মতো নেই। এখন তাঁরা বাইরের নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। ফলে আগেকার সে সব নিয়ম-রীতি বহু বাড়িতেই আর মানা হয় না। কিন্তু তাই বলে কি নিয়মিত ধুলো পরিষ্কার করা, ঝুল ঝাড়াও বাদ পড়ে যাচ্ছে? তবে কিন্তু বিপদ আছে।
কী বিপদ হতে পারে নিয়মিত ঝুল ঝাড়া না হলে?
ঘরে জমে থাকা ধুলোয় নানা ধরনের জিনিস জমে থাকে। চুল, নখ থেকে শুরু করে বালি, পালক, খাবারের টুকরো। এ সব দিনের পর দিন এক জায়গায় থাকতে থাকতে নানা ধরনের ব্যাক্টিরিয়ার জন্ম হয়। বাড়িতে শিশুরা থাকলে সহজেই সে সব ঘেঁটেও ফেলে। আর তার থেকে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ। তাদের পেট খারাপ তো হতে পারেই, চোখে চলে গেলে প্রভাব পড়তে পারে দৃষ্টিশক্তির উপরও।
ধুলো আপাত ভাবে দেখা না গেলেও ক্ষতি করতে পারে আরও নানা দিক থেকে। আসবাবপত্র কিংবা বইয়ের উপর সহজেই ধুলো জমে যায়। সে সব শ্বাসের সঙ্গে শরীরেও প্রবেশ করতে পারে। তার থেকে দেখা দিতে পারে ফুসফুসের নানা সমস্যা। বিশেষ করে বাড়িতে বৃদ্ধরা থাকলে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি।
কত দিন অন্তর ধুলো ঝাড়া জরুরি?
রোজই আসবাবপত্র সাফ করতে পারলে ভাল। কিন্তু তা সম্ভব না হলেও সপ্তাহে এক বার বিছানা, বইয়ের তাক, টিভি, সোফার মতো রোজ ব্যবহার করার জায়গাগুলি থেকে ধুলো ঝেড়ে ফেলতে হবে। আ ছাড়াও দু’মাস অন্তর ঘরের সব কোণ পরিষ্কার করা জরুরি। নিয়মিত ঝুল ঝাড়ার অভ্যাস করাও খুব প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy