Advertisement
১০ মে ২০২৪
lifestyle

এখন থেকেই শুরু করুন ঘরোয়া যত্ন, শীতে আর পা ফাটবে না

শীতকালে ফাটা গোড়ালি যেমন দেখতে খারাপ লাগে, তেমন-ই অনেকের ক্ষেত্রে তা আবার যন্ত্রণাদায়কও। যাঁদের পা ফাটার সমস্যা আছে, তাঁরা বছরভর পায়ের যত্ন নিন। তাহলে শীতকালে অনেকটাই এড়াতে পারবেন এই সমস্যা।

শীত আসার আগেই সতর্কতা জরুরি।

শীত আসার আগেই সতর্কতা জরুরি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:১৭
Share: Save:

উৎসবের মরসুম শেষ হতেই বাতাসে হিমের পরশ। অনেকেরই এই সময় থেকে পায়ের গোড়ালি ফাটতে শুরু করে। ঠান্ডা যত বাড়তে থাকে, পা-ও ফুটিফাটা হতে শুরু করে। শীতকালে ফাটা গোড়ালি যেমন দেখতে খারাপ লাগে, তেমন-ই অনেকের ক্ষেত্রে তা আবার যন্ত্রণাদায়কও। যাঁদের পা ফাটার সমস্যা আছে, তাঁরা বছরভর পায়ের যত্ন নিন। তাহলে শীতকালে অনেকটাই এড়াতে পারবেন এই সমস্যা।

শীতে যাঁদের গোড়ালি ফাটে, তাঁরা সারা বছর পায়ে দিন ময়শ্চারাইজারের প্রলেপ। শীতকালে অবশ্যই এর পরিমাণ বাড়বে। কিন্তু বছরের অন্য সময়ে হাল্কা হলেও ক্রিমের প্রলেপ দিতে হবে দু’ পায়ের পাতায়। যাঁদের কাজের প্রয়োজনে বেশি হাঁটাহাঁটি করতে হয়, বা যাঁরা অনেকক্ষণ একটানা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের পা ফাটার প্রবণতা বেশি হয়। বেশি বাড়াবাড়ি হলে পায়ের ফেটে যাওয়া অংশ থেকে রক্তপাতও হয়। তাই শীত আসার আগেই সতর্কতা জরুরি।

বাড়ি থেকে বার হলে পায়ে সবসময় উলের বা সুতির মোজা পরুন। সঙ্গে, পা ঢাকা জুতো। বাড়িতেও স্লিপারের সঙ্গে সুতির মোজা পরা থাকা ভাল। কর্মরতদের অনেকেই এখন সারা বছর পায়ে সুতির মোজা পরেন। এতে পা ভাল থাকে। কষ্ট হলেও গরমে যদি বাড়ির বাইরে বার হলে সুতির মোজা পরে থাকতে পারেন, তা হলে শীতকালে উপকার পাবেন। অনেকটাই কমবে পা ফাটার সমস্যা। জুতো-মোজায় যেমন পায়ের আর্দ্রতা বজায় থাকে, তেমনই অন্যদিকে, জীবাণু থেকেও রক্ষা পায় আপনার পদযুগল।

আরও পড়ুন: কী ভাবে অনেকক্ষণ ঠোঁটে ধরে রাখবেন লিপস্টিক? জেনে নিন টিপস

যাঁদের পা ফাটার সমস্যা আছে, তাঁরা বছরভর পায়ের যত্ন নিন।

ব্যস্ততার মধ্যে একফালি সময় বার আর একটি জিনিস পায়ের জন্য নিয়মিত করুন। ঈষদুষ্ণ জলে পায়ের গোড়ালি অবধি ডুবিয়ে বসুন। তারপর ভাল করে পা মুছে ক্রিম লাগান। সবথেকে ভাল হয়, যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটা করতে পারেন। মোছার পরে শুকনো পায়ে ক্রিম লাগিয়ে সুতির মোজা পরে ঘুমিয়ে পড়ুন। নইলে, অন্য যে কোনও সময় এটা করতে পারেন। ধরুন, টিভি দেখতে দেখতে বা মোবাইলে চ্যাট করার সময় পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন হাল্কা উষ্ণ জলে। এতে সময় বাঁচল। আবার পায়ের যত্ন-আত্তিও হল। তবে বেশিক্ষণ ঈষদুষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে রাখবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।

আরও পড়ুন: শব্দবাজি ডেকে আনে এই সব অসুখ, কী ভাবে আটকাবেন?

ঈষদুষ্ণ জলে পায়ের গোড়ালি অবধি ডুবিয়ে বসুন।

প্রধানত শুষ্ক বাতাসে পায়ের আর্দ্রতা কমে যাওয়ার জন্যই এর ত্বক ফাটতে শুরু করে। কিন্তু শুনতে আশ্চর্য লাগলেও সত্যি, আরও কিছু কারণে পা ফাটতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় জলপান কম হলে বা দীর্ঘক্ষণ গরম জলে স্নান করলেও পা ফাটার প্রবণতা বাড়ে। যাঁদের মধুমেহ রোগ আছে, বা যাঁরা ঝামাপাথর (পিউমিস স্টোন) দিয়ে জোরে জোরে ঘষে পা পরিষ্কার করেন, তাঁদেরও পা ফাটার আশঙ্কা অনেক বেশি।

তাই, শুধু পার্লারে গিয়ে পেডিকিয়োর-ই নয়। বাড়িতেও ঘরোয়া উপায়ে পায়ের যত্ন নিন বছরভর। যাতে শীতেও আপনার পা আরামে থাকে।

(ছবি:শাটারস্টক)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE