যেকোনও কর্ম ক্ষেত্রেই পেশাদারিত্বের মূল্য সবচেয়ে বেশি। পেশাদারিত্ব মানে শুধু ভাল কাজ নয়। কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলাপরায়ণ হওয়া, কর্মক্ষেত্রে আপনার আচরণ, কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক, উর্ধ্বতনদের সঙ্গে সম্পর্ক সবই পেশাদারিত্বের আওতায় পড়ে। আর যিনি এই সবক’টি শর্ত সঠিক ভাবে মেনে চলেন, কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর গুরুত্ব সব সময় বেশি। তাঁর পেশাদারিত্ব বাকিদের মধ্যে আলাদা করে চোখেও পড়ে। নিজেকে কর্মক্ষেত্রের আদর্শ পেশাদার করে তুলবেন কী ভাবে? সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ সর্বদা মেনে চলুন।
১। পোশাক পরিচ্ছদ
আপনার সঙ্গে কথা বলার আগেও চোখে পড়ে আপনার পোশাক পরিচ্ছদ। তাই প্রথমেই সে ব্যাপারে সতর্ক হোন। এমন কিছু পরবেন না, যা কর্মক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত নয়। এর পাশাপাশি নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকাও জরুরি। জরুরি কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতির উপযুক্ত গ্রুমিং। যার মধ্যে শৌচাগার ব্যবহারবিধিও পড়ে।
২। সময়ানুবর্তিতা
কর্মক্ষেত্রে পৌঁছনোর নির্ধারিত সময়েই পৌঁছনোর চেষ্টা করুন। সময়ে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া পেশাদারিত্বের প্রথম ধাপ।
৩। কথাবার্তার ধরন
সবাই নিজের কথা বলতে চান। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে কথা বলার সময় উল্টো দিকের মানুষটি কী বলতে চাইছেন, তার জন্য অপেক্ষা করা জরুরি। কথার উপর কথা না বলে শোনার চেষ্টা করুন। আর যখন নিজের কথা বলবেন, তখন স্পষ্ট ভাবে কথা বলুন।
৪। ডেডলাইন
বেশির ভাগ কর্মক্ষেত্রেই কাজ শেষ করার ধরাবাঁধা সময় থাকে। কর্তৃপক্ষ আশা করে আপনি সেই সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পূর্ণ করবেন। সব সময় সময়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। ব্যতিক্রম হয় না তা নয়। কিন্তু এক আধবারের ব্যতিক্রম আপনার অভ্যাস যে নয়, তা কর্তৃপক্ষ বুঝবে।
৫। মেজাজ সামলে রাখা
কর্মক্ষেত্রে নানা রকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে আপনি কী ভাবে নিজেকে সামলে রাখছেন, সে দিকে খেয়াল থাকবে সকলেরই। তাই জটিল পরিস্থিতিতেও সামলে রাখুন নিজেকে। মাথা ঠান্ডা করে কাজ করুন।
৬। সম্মান দেওয়া
সম্মান পেতে হলে সম্মান দিতে জানা সবার আগে জরুরি। কর্মক্ষেত্রেও সেই নিয়ম খাটে। তাই সহকর্মী এবং উর্ধ্বতনদের অসম্মান হয় এমন কাজ করবেন না।
৭। সমাজমাধ্যমে সতর্কতা
সমাজমাধ্যমও আপনার সত্ত্বার একটি অঙ্গ। সেখানে আপনি কী লিখছেন, কী পোস্ট করছেন, সে দিকে নজর থাকে সবার। যদি আপনি কোনও সংস্থার কর্মী হন। তবে আপনার সমাজ মাধ্যমের পোস্ট সেই সংস্থার ভাবমূর্তিতেও প্রভাব ফেলে। তা মাথায় রেখেই কাজ করুন।