খাঁটি ঘি চেনার উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
সর্ষের তেলের মতো ঘিয়ের ঝাঁজ নেই। কিন্তু মায়াবী একটা গন্ধ আছে। গরম ভাতের উপর এক চামচ খাঁটি ঘি পড়লেই গন্ধে সারা বাড়ি ম ম করে। শরীরের কারণেই একটা সময়ে ঘি খেতে ভয় পেতেন হার্টের রোগীরা। ইদানীং সে ধারণা বদলেছে। পরিমিত পরিমাণে ঘি খেলে যে হার্ট ভাল থাকে, সে কথা প্রমাণ হয়েছে বহু গবেষণায়। তবে সেই যেন খাঁটি হয়। বাজারচলতি ঘি তো সেই অর্থে খাঁটি হয় না। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় ঘিয়ের মধ্যে আকছার ভেজাল মিশিয়ে থাকেন। দোকানে গিয়ে গন্ধবিচার করে ঘি কেনা সম্ভব নয়। তাই ঘি খাঁটি কি না, তা না বুঝে সংস্থার নাম দেখে ঘি কিনে ফেলেন। অনেকে আবার এই ব্যাপারে পাড়ার মিষ্টির দোকানের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করেন। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, খাঁটি ঘি চেনার কয়েকটি ফিকির আছে। সেগুলি জানা থাকলেই ঘি চিনতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
১) সাদা কাগজে সামান্য একটু ঘি রাখুন। ঘণ্টাখানেক ওই অবস্থায় রেখে দিন। ঘি খাঁটি হলে কাগজ পুরো ঘি শুষে নেবে। যদি ঘি ভাল মানের না হয়, অশুদ্ধি মেশানো থাকে তা হলে কাগজে তা পড়ে থাকবে।
২) ঘি খাঁটি কি না তা বলে দিতে পারে স্বচ্ছতা। ঘিয়ের মধ্যে যদি কোনও রকম রাসায়নিক মেশানো থাকে, তা হলে ঘি দানাযুক্ত হয়। ঘিয়ের হলদেটে রং বদলে যেতে পারে। ভাল মানের ঘি ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কিন্তু জমে যায় না, তরল অবস্থায় থাকে।
৩) কড়াইতে সামান্য ঘি গরম করুন। আগুনের তাপে ঘি গলতে যদি বেশি সময় লাগে বুঝতে হবে তার মধ্যে অশুদ্ধি মেশানো আছে। কারণ, খাঁটি ঘি খুব তাড়াতাড়ি গলে যেতে পারে। পুড়ে গেলে খুব একটা ধোঁয়া নির্গত হয় না।
৪) এক গ্লাস উষ্ণ জলে সামান্য একটু ঘি মিশিয়ে নিন। খাঁটি ঘি গরম জলে খুব সহজেই দ্রবীভূত হয়। কিন্তু অশুদ্ধি মেশানো থাকলে তা জলের উপর ভেসে ওঠে।
৫) খাঁটি ঘি কয়েক ঘণ্টা ফ্রিজের মধ্যে রাখলেই তা জমে যাবে। কিন্তু ঘিয়ের মধ্যে যদি কোনও রকম রাসায়নিক মেশানো থাকে, সে ক্ষেত্রে ঘিয়ের উপর আলাদা করে একটি স্তর হয়ে তা জমে থাকবে। বাইরে থেকে দেখলেই তা বোঝা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy