গরম কবাব হোক কিংবা মুচমুচে ভাজাভুজি—ধনেপাতার চাটনিতে ডুবিয়ে খেতে দারুণ লাগে। মাঝের ঝাল হোক বা আলুর তরকারি— রান্নার শেষে টাটকা ধনেপাতা একমুঠো ফেলে দিলেই যথেষ্ট। ভিটামিন এ, কে, সি-তে ভরপুর ধনেপাতা। এ ছাড়াও এতে মেলে কপার, জ়িঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাঙ্গামিজ়, আয়রনের মতো খনিজ।
আরও পড়ুন:
উপকারী ধনেপাতাই কিন্তু অপকারী হয়ে উঠতে পারে সামান্য ভুলে। বাজার থেকে কিনে আনা ধনেপাতায় কাদা-মাটি তো বটেই, লেগে থাকে কীটনাশকও। অনেকেই ধনেপাতা না ধুয়ে রান্নায় দিয়ে দেন। তবে এতে ধনেপাতায় লেগে থাকা নোংরা যেমন পরিষ্কার হয় না, তেমনই কীটনাশকও সম্পূর্ণ রূপে ধুয়ে যায় না। আর তা পেটে গেলেই হতে পারে অসুখ। পেটের রোগ তো বটেই, হরমোনের ভারসাম্যও বিগড়ে যেতে পারে। কিছু কিছু কীটনাশক এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টর হিসাবে কাজ করে যা হরমোনের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে।
ফলে উপকারিতা পেতে হলে ধনেপাতা ভাল করে ধুয়ে নেওয়া জরুরি। কিন্তু কী ভাবে? জেনে নিন প্রতিটি ধাপ।
১। প্রথমেই ধনেপাতার শিকড়ের অংশটি ছুরি বা কাঁচি দিয়ে কেটে আলাদা করে নিন।
২। ধনেপাতা সাধারণত আঁটি হিসাবে বিক্রি হয়। দড়ি দিয়ে বাঁধা থাকে। শিকড়ের অংশ কেটে নেওয়ার পর দড়ি খুলে তা চুপড়ির মধ্যে রাখুন। গোছাটি আলগা করে দিন।ধনেপাতা কলের তলায় রেখে হাত দিয়ে রগড়ে ধুয়ে নিন।
৩। এরপর জলে নুন দিয়ে তার মধ্যে অন্তত ১০ মিনিট ধনেপাতা ভিজিয়ে রাখুন। এতে পাতায় কোন পোকামাকড়, নোংরা থাকলে ভাল করে ধুয়ে যাবে। পাতার গায়ে লেগে থাকা কীটনাশকও ভাল করে পরিষ্কার হবে।
৪। ধোয়াধুয়ির এখানেই শেষ নয়। আবার পরিষ্কার জলে ধনেপাতা ধুয়ে নিন। কলের জলে তা রগড়ে ধুয়ে নিলে ভাল ভাবে পরিষ্কার হবে।
৫। ভিজে অবস্থায় ধনেপাতা তুলে রাখলে তা পচে যাবে। প্রথমে জল ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে। তার পরে বায়ুনিরোধী কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রাখলে সপ্তাহখানেক ধনেপাতা তাজা থাকবে।