বর্ষায় সাদা জুতো? নৈব নৈব চ। তব কয়েকটি নির্দিষ্ট পোশাকের সঙ্গে সাদা স্নিকার্স বড় ভাল মানায় যে! তা হলে কি এক বার পরেই ফেলে দিতে হবে? কারণ, কাদা লাগা সাদা জুতো কি আর পরিষ্কার করা যায়? যায় বটে। প্রচলিত টোটকা ছেড়ে নতুন ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করে দেখুন।
চামড়া, ক্যানভাস বা মেশ, যে উপাদান দিয়েই তৈরি হোক না কেন, সব রকমের জুতোই নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। বিশেষ করে বর্ষায়। না হলে বৃষ্টির জলকাদা লেগে এমন দাগ পড়তে পারে, যা কোনও দিনও উঠবে না। সম্পূর্ণ ভোলবদলের আগেই ঘষামাজার কাজ শুরু করে দিতে হবে। নয়তো পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা ব্যাপক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। বিশেষ করে সাদা জুতোর ক্ষেত্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও ময়লা ওঠে না। তবে ন্যূনতম পরিশ্রম এবং ঘরোয়া সরঞ্জাম দিয়ে এই ক্লান্তিকর কাজটি নিমেষে সেরে ফেলা যায়। কেবল জানতে হবে কৌশল।
সাদা জুতোর সম্পূর্ণ ভোলবদলের আগেই ঘষামাজার কাজ শুরু করে দিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
জুতো পরিষ্কার করার আগে জানতে হবে, সেটি কোন উপাদান দিয়ে তৈরি। ভুল ক্লিনজ়ার ব্যবহার করলে হয়তো জুতোজোড়া ফেলেই দিতে হবে। তিন ধরনের জুতো পরিষ্কারের জন্য তিনটি ভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। তবে মজার বিষয়, জুতো পরিষ্কারের সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে স্নানঘর, রান্নাঘর থেকে সাজঘরের জিনিসপত্রও।
মেশ: মেশ জুতো পরিষ্কার করা সবচেয়ে সহজ। গরম জলে কয়েক ফোঁটা ডিশওয়াশার লিক্যুইড মিশিয়ে একটি ক্লিনজ়ার তৈরি করতে পারেন। তার পর একটি জুতো পরিষ্কারের ব্রাশ বা নরম টুথব্রাশ দিয়ে জুতোগুলি ঘষতে পারেন ক্লিনজ়ার দিয়ে। তাতেই জেদি দাগ উঠে আসতে পারে।
ক্যানভাস: ক্যানভাস মেশের চেয়ে কিছুটা বেশি সূক্ষ্ম, তাই যে কোনও সাদা টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। ব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষে ঘষে ময়লা তুলে ফেলতে পারেন।
চামড়া: অল্প পরিমাণে সাদা রঙের বডি লোশন নিয়ে জুতোর উপর মাখিয়ে দিন। তার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেললে আপনার চামড়ার জুতো একেবারে নতুনের মতো ঝকঝকে দেখাবে।