প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন। প্রচুর পরিমাণে জল খাচ্ছেন। ত্বকের যথাযত যত্ন নিচ্ছেন। এমনকী শরীরচর্চাও করছেন। তা-ও মেকআপ করলেই মুখে একটা করে ব্রোনো বেরচ্ছে? কিছুতেই বুঝতে পারছেন না কেন? হয়ত আপনার মেকআপ ব্রাশই দায়ী। নোংরা জমে যাবতীয় ব্যক্টেরিয়া বাসা বাঁধে মেকআপ ব্রাশ, স্পঞ্জ বা অন্য মেকআপের সরঞ্জামে। অপরিষ্কার চিরুনি থেকেই চুলে খুশকির সমস্যা বাড়ে। তেমনই পরিষ্কার করা প্রয়োজন চুল শুকানো বা চুল সোজা করার যন্ত্রগুলি।
এই সময় বাড়ি থেকে তেমন বেরতে হচ্ছে না। তাই এই সুযোগে এগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন। কোন জিনিসটা কী ভাবে পরিষ্কার করবেন, আগে সেটা জেনে নিন।
চিরুনি, হেয়ারব্রাশ
প্রথমেই জমে থাকা চুল হাত দিয়ে তুলে ফেলুন। তারপর একটা চওড়া ছড়ানো পাত্রে হালকা গরম জলে কয়েক ফোঁটা ডিটারজেন্ট বা শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। দিয়ে চিরুনিগুলো ডুবিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর বাকি ময়লাটা একটা পুরনো টুথব্রাশের সাহায্যে ছাড়িয়ে নিন।
ব্লো ড্রায়ার
চুল শোকানোর যন্ত্রও যে পরিষ্কার করতে হয়, তা অনেকেই জানেন না। কিন্তু নোংরা জমে জমে যন্ত্রটির মুখ বন্ধ হয়ে আসে। তাতে যন্ত্রটি খুব তাড়াতাড়ি বেশি মাত্রায় গরম হয়ে যায়। তাই প্রথমে একটা সরু কাঠির ডগায় তুলো দিয়ে গ্রিডের মধ্যে থেকে নোংরা বার করে নিন। তারপর ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
হেয়ার কার্লার বা স্ট্রেটনার
চুল কোঁকড়া বা সোজার করার সময় কি আপনি চুলে ‘হিট প্রটেকটিং সিরাম’ ব্যবহার করেন? তা হলে সেটা জমে জমে আরও নোংরা হচ্ছে আপনার যন্ত্রগুলো। সেগুলো ভাল করে কোনও অ্যালকোহল ওয়াইপ দিয়ে মুছে নিন।
মেকআপ ব্রাশ
মেকআপ ব্রাশে সবচেয়ে বেশি ব্যাক্টেরিয়া জমে। সেখান থেকেই মুখে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়। তাই ঘন ঘন পরিষ্কার করা প্রয়োজন। ফাউন্ডেশন ব্রাশ প্রত্যেকবার ব্যবহার করার পর ধুয়ে ফেলুন। চোখও প্রচণ্ড স্পর্শকাতর। তাই লাইনার ব্রাশও ধুতে হবে নিয়মিত। গ্লিটার মেকআপ ব্যবহার করলে সাবান জলে ব্রাশ বা ব্লেন্ডার ভিজিয়ে রাখুন।
ব্রাশ পরিষ্কার করার স্প্রে পাওয়া যায়। সেগুলো দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। তবে খুব সাবধানে পরিষ্কার না করলে ব্রাশের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্লো ড্রাই করবেন না। এতে ব্রাশ রুক্ষ হয়ে যাবে। এমনি হাওয়ায় শুকিয়ে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy