ঝর্নার সঙ্গে সেলফি না হয় তোলা গেল, কিন্তু ভিডিয়ো! ইচ্ছা করছে পাথর টপকে লাফিয়ে এ-পার, ও-পার করতে, ঝর্নার জল ছিটিয়ে দিতে— কিন্তু এমন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে দেবে কে?
সঙ্গের সঙ্গী কায়দা করে ভিডিয়ো তুলতে পারলে আলাদা কথা, কিন্তু সঙ্গে বয়স্ক বাবা-মা থাকলে তাঁদের দিয়ে সেটা হবে না। তা ছাড়া একলা বেড়াতে গেলে ছবি তোলাার লোক কই? তা হলে নিজের ভিডিয়ো শুট কী ভাবে হবে?
ট্রাইপড, গরিলা পড, সেলফি স্টিক: সঙ্গে রাখুন গরিলা পড এবং সেলফি স্টিক। দু’টি জিনিস বেশ ছোট, চট করে ব্যাগে ভরা যায়। ওজনে হালকা। তবে ভীষণ কাজের। সেলফি স্টিক দিয়ে যে কায়দায় ছবি তোলা যায়, সেই ভাবেই ভিডিয়ো করা যায়। সেলফি স্টিকেও স্ট্যান্ড থাকে। ঠিকমতো জায়গায় সেটি বসিয়ে রাখুন। ক্যামেরা সেট করে ফোকাস যেখানে, সেখানে বসে পড়ুন। সেলফি স্টিকের সঙ্গে রিমোট বোতাম থাকে। দূরে পাথরের উপর বসেই ক্যামেরা চালু এবং বন্ধ করতে পারবেন।
গরিলা পডের সুবিধা হল, এর তেপায়া স্ট্যান্ড ইচ্ছামতো বেঁকানো যায়। গাছের উঁচু ডালে কিংবা ঝুলন্ত সেতুর রেলিংয়ে সেটি সেট করে ফেলতে পারেন। ফলে বিভিন্ন কোণ থেকে নিজের ছবি এবং ভিডিয়ো নিতে পারবেন।
সঠিক ক্যামেরা: ভিডিয়ো তোলায় মূল লক্ষ্য হল সেই মতো ক্যামেরা কিনতে হবে। বিশেষত ট্রাভেল ভিডিয়ো তুলতে চাইলে আকারে ছোট, হালকা, অথচ দারুণ, ভিডিয়ো তোলা যায়, এমন আধুনিক ক্যামেরা বেছে নিন। এতে থাকা স্ক্রিনে নিজের শট নিজেই দেখা যায়, ফলে সুবিধা হয় অনেকটাই।
লেন্সের ব্যবহার: এখন একটু ভাল মানের মোবাইলেই এইচডি ছবি ওঠে। তবে ভিডিয়োয় বৈচিত্র পেতে হলে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, নির্দিষ্ট দূরত্বের লেন্স সঙ্গে রাখতে হবে। যদি ছড়ানো বা চওড়া ভিউ পেতে হয়, কাজে লাগবে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল।
মাইক্রোফান: অনেকে একলা গিয়েই ভ্লগিং করেন। সে ক্ষেত্রে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে রেকর্ড করতে হয়। এই কাজটি করে দেবে মাইক্রোফান। কিংবা যদি নদীর জলস্রোতের শব্দ বা পাখির ডাক রেকর্ড করতে চান, ক্যামেরা নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে রেখে মাইক্রোফোন রাখুন নদীর কাছে কিংবা যেখান থেকে পাখির ডাক শোনা যাচ্ছে, সেখানে। শব্দ অনেক স্পষ্ট আসবে।
ট্রাইপড কাজে লাগে নানা ভাবে: ‘স্লো মোশন’ বা ‘টাইম ল্যাপস’ মোডগুলি স্মার্ট ফোনেই থাকে। ভিডিয়োয় নাটকীয়তা জুড়তে এগুলি দারুণ কাজের। ‘টাইম ল্যাপস'-এর জন্য ট্রাইপড বা গরিলাপড জরুরি। এতে যে কোনও জায়গায় স্ট্যান্ড বসিয়ে ছবি তোলা যায়।
শট: শটের জন্য পরিকল্পনা দরকার। হয়তো দেখাতে চাইছেন, হেঁটে যাচ্ছেন বা ছুটছেন— পায়ের শট নিতে হলে স্ট্যান্ডে ক্যামেরা আটকে ভিডিয়ে মোড অন করে ক্যামেরা রাখুন। ক্যামেরার পিছন থেকে হেঁটে এসে ক্যামেরা পেরিয়ে হেঁটে যান। একই ভাবে গতি বাড়িয়ে ছুটে যান। প্রয়োজন মতো ক্যামেরার কোণ বদলান। এই ভাবেই কিন্তু নানা রকম দারুণ শট পাওয়া সম্ভব।
এডিটিং: শট্, রিল, ভিডিয়ো, যা-ই বানান না কেন, অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেওয়া, সঠিক আলো এবং শব্দ সম্পাদন জরুরি। এমন অনেক ফ্রি অ্যাপ রয়েছে, যা এডিটিং-এ সাহায্য করবে।