এবারের মূল আকর্ষণ বাংলাদেশ। ছবি: আকাশ দেবনাথ
বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কে শুরু হয়ে গেল ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। চলবে ১৩ই মার্চ পর্যন্ত। এ বছর বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে বইমেলা। গিল্ডের হিসেব বলছে এ বারের মেলায় রয়েছে ৬০০-রও বেশি স্টল। প্রতি বারের মতো এ বার নানা বিখ্যাত প্রকাশনীর পাশাপাশি রয়েছে লিটল ম্যাগাজিনের প্যাভিলিয়ন। বই বিকিকিনির সঙ্গে সঙ্গেই সাহিত্যক্ষেত্রের বিভিন্ন কৃতী ব্যক্তিদের নিয়ে সংঘটিত হবে অষ্টম কলকাতা সাহিত্য উৎসব।
বাংলাদেশের জন্য বিশেষ ভাবে নির্মিত প্যাভিলিয়নটি সাজানো হয়েছে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ দেওয়া মুজিবুর রহমানের বৈগ্রহিক ভাষণের কথা মাথায় রেখে। এখানে হাজির রয়েছে বাংলাদেশের বহু প্রকাশনী।
কী করবেন
সব মিলিয়ে আটটি প্রবেশদ্বার রয়েছে এ বারের মেলায়। বাস স্ট্যান্ডর সামনেই রয়েছে আট নম্বর গেট। গোটা মেলা এক দিনে দেখতে চাইলে এক অথবা আট, যে কোনও একটি প্রান্তের গেট দিয়ে ঢুকে অপর প্রান্ত দিয়ে বেরোনই সুবিধাজনক। বই দেখা ও বই কেনা ছাড়াও বইমেলায় রয়েছে খাওয়াদাওয়া করার জন্য বেশ কিছু খাবারের দোকান। প্রশাসনের তরফ থেকে রয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জলের বন্দোবস্তও। রয়েছে হস্তশিল্পের দোকানও। বই ছাড়াও রয়েছে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চও।
কী ভাবে যাবেন
যদি ট্রেনে করে যেতে চান তবে নামতে হবে বিধাননগর রোড বা উল্টোডাঙ্গা স্টেশনে। শিয়ালদহ থেকে বিধাননগর রোড একটি মাত্র স্টেশন। স্টেশন থেকে নেমে অটো কিংবা বাস ধরে চলে যেতে হবে সল্টলেক করুণাময়ী। ফুলবাগান থেকে মেট্রো ধরলেও করুণাময়ী নামা যেতে পারে। করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড ও মেট্রো স্টেশনের একেবারে গায়েই অবস্থিত সেন্ট্রাল পার্ক। ফেরার সময় করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকেই শহর ও শহরতলিতে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
কখন যাবেন
মেলা খুলবে প্রতি দিন দুপুর ১২টায়। খোলা থাকে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে স্বাভাবিক ভাবেই দিনেরবেলা ভিড় অপেক্ষাকৃত কম হয়। ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকলেও শেষ বেলায় ফিরতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy