দোসা, ইডলি বানাতে যত না সময় লাগে তার চেয়ে আরও বেশি সময় দরকার হয় এর মিশ্রণ প্রস্তুত করতে। কারণ, দোসা শুধু চাল, বিউলির ডালের মিশেল নয় বরং এই খাবারের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ নির্ভর করে তা সঠিক পদ্ধতিতে মজানো বা ফাঁপানো হচ্ছে কি না তার উপর। এই প্রক্রিয়ার জন্য যেমন সঠিক তাপমাত্রা প্রয়োজন তেমনই দরকার হয় দীর্ঘ সময়। দোসার মিশ্রণ ফারমেন্টেড হতে অন্তত ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। এই সময়টাও নির্ভর করে মরসুমের উপর। গরমের দিনে গ্যাঁজানো বা মজিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি হয় দ্রুত তবে শীতের মরসুমে সেই সময় লাগে অনেকটাই বেশি। হাতে সময় কম থাকলে, সহজ কয়েকটি কৌশলে তুলনামূলক কম সময়েই দোসা তৈরির মিশ্রণ গেঁজিয়ে বা মজিয়ে নেওয়া যায়। জেনে নিন পদ্ধতি।
১. কম সময়ে দোসা, ইডলি তৈরির প্রস্তুতি নিতে হলে বিউলির ডাল হালকা গরম জলে ভিজিয়ে নিতে পারেন। এতে ডাল দ্রুত নরম হয়ে যাবে।
২. দোসার মিশ্রণ তৈরির সময় খুব সামান্য জল প্রয়োজন হয়। তবে ঠান্ডার বদলে গরম জল ব্যবহার করলে গ্যাঁজানোর প্রক্রিয়া কিছুটা দ্রুত হবে।
৩. বায়ুনিরোধী কৌটো নয় বরং স্টিল বা বড় পাত্রে দোসা তৈরির মিশ্রণ ঢেলে রাখুন। পাত্রের ঢাকা পুরোপুরি বন্ধ না করে একটু খোলা রাখতে হবে। বাতাস চলাচল করতে পারলে মিশ্রণ দ্রুত এবং ভালভাবে মজবে।
৪. যতক্ষণ না মিশ্রণটি ভাল করে ফেঁপে উঠছে ততক্ষণ নুন দেবেন না। নুন গোটা প্রক্রিয়াকে শ্লথ করে দিতে পারে।
৫. মিশ্রণে জলের ভাগ বেশি থাকলে তাতে দোসা ভাল হবে না। মিশ্রণ অতি ঘন হয়ে গেলে গ্যাঁজানো বা মজানোর প্রক্রিয়াতে দেরি হবে। সুতরাং মিশ্রণের ঘনত্ব সঠিক রাখতে হবে।
৬. দোসা তৈরির মিশ্রণ দ্রুত মজিয়ে নিতে সেটি কোনও উষ্ণ জায়গায় রাখা দরকার। মাইক্রোওয়েভ অভেন গরম করে তার মধ্যেও পাত্র ভর্তি মিশ্রণটি দিয়ে রাখতে পারেন। এতে তা দ্রুত মজবে।
৭. বিউলির ডালের সঙ্গে সামান্য একটু মেথিদানা ভিজিয়ে একসঙ্গে বাটলে মজানোর প্রক্রিয়াটি দ্রুত হবে।