পাশে শুয়ে কেউ নাক ডাকছে। ব্যস, তাহলেই ঘুমের দফারফা। কানে তুলো গুজুন বা বালিশ চাপা দিন। রেহাই পাবেন না কিছুতেই। নাক ডাকার সমস্যা চিরকেলে। বা আপনার ভয়ানক নাসিকা গর্জনের জেরে পাশের মানুষটির ঘুমে উড়ে গেছে। ফল স্বরূপ সকাল বিকেল জুটছে গালি, তিরস্কার। এক কথায় প্রেস্টিজের ফালুদা। এই ফুররফত্-এর অসহ্য ক্যাকাফোনি আপনাকে যে মনে মনে কত জনের অভিশাপের টার্গেট করে তুলছে তার হিসেব কেই বা রাখে! নাক ডাকা রাতারাতি থামিয়ে ফেলা আপনার সাধ্যি নয়। কিন্তু কিছু জিনিস খানিক মাথায় রাখলে এই অগাধ বিড়ম্বনার হাত থেকে কিছুটা নিস্তার পাওয়া যায় বৈকি।
নাক ডাকা নিয়ন্ত্রণ করতে খেয়াল রাখুন।
১) ওজন কমান। অতিরিক্ত ওজন শরীরে হাজারো সমস্যার সঙ্গেই বাড়িয়ে তোলে নাক ডাকার বেগ। মোটা লোকেরা রাতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নাক দিয়ে সিংহ গর্জন করতে পারেন। একটু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্র্যাকটিস করুন। খিদে পেলেই গপগপ করে এক গাদা খেয়ে ফেলার কিন্তু কোনও মানেই হয় না। তাতেই মেদ বাড়ে।
২) চিত্ হয়ে নয়, চেষ্টা করুন পাশ ফিরে শোয়ার। মুখ ঢেকে শোবেন না। তাতে শ্বাসের সমস্যা হয়। আর তা থেকেই নাক ডাকার সূত্রপাত হয়।
৩) গলা পর্যন্ত মদ খেয়ে ধুপ করে ঘুমিয়ে পরবেন না। মাতালদের নাসিকা একটু বেশিই ডাকে। এটা প্রমাণিত। অতএব মনের সুখে মদ খেয়ে টুকটুক করে বিছানার দিকে পারি দেবেন না। হাঁটতে যদি নাও পারেন, বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকুন।
৪) কমিয়ে ফেলুন নেশা বিশেষ করে সিগারেটের নেশা।
৫) ঘুমাতে যওয়ার আগে ভাল করে নাক ঝেড়ে নিন। নাক বন্ধ থাকলেই নাকের বদলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হবে। এবং নাছোড় নাক ডাকতে শুরু করবেই।
৬) ভোর বেলা উঠে নিয়ম করে প্রাণায়ম করুন।
আপনার নাকের ঢক্কা-নিনাদের চোটে যদি বাড়ি ঘর কাঁপার উপক্রম হয়, সাত-পাঁচ না ভেবে সোজা ডাক্তারের কাছে যান। জানবেন, লক্ষণটা মোটেও ভাল নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy