মেথি আর কসুরি মেথি আলাদা? ছবি: সংগৃহীত।
গোটা শীত জুড়েই মেথি শাক খেয়েছেন। কখনও ভাতের সঙ্গে, কখনও পরোটার। গরমকালে এই শাক তো একেবারেই পাওয়া যায় না। তাই অনেকটা শাক কিনে বেছে, ধুয়ে রোদে শুকিয়ে ‘এয়ারটাইট’ কৌটোর মধ্যে ভরে রেখেছেন। যাতে গরমকালে নটে, কলমির বদলে এই মেথি শাক খেয়ে একটু স্বাদবদল করা যায়। আবার, মুরগির মাংস, তড়কা কিংবা পনির রাঁধার সময়েও কসুরি মেথি দেওয়া হয়। বাড়িতে যদি সেই মেথিপাতা না থাকে, তা হলে রোদে শুকিয়ে রাখা মেথি শাক ব্যবহার করা যায়? সাধারণ মেথি শাক আর কসুরি মেথি কি আলাদা?
মেথি শাকের পাতা শুকিয়েই কসুরি মেথি হয়। তবে সেই শাকের জাত আলাদা। এখন ভারতের সর্বত্র কসুরি মেথি পাওয়া গেলেও এই মশলার জন্ম কিন্তু পাকিস্তানের কসুরে। এই মেথি শাকের নামকরণও সেই জায়গার নাম থেকেই। তবে ভারতীয় আমিষ-নিরামিষ রান্নায় এই কসুরি মেথি এমন প্রভাব বিস্তার করেছে যে, তা এখন এ দেশেরই হয়ে গিয়েছে। তবে, বাজারে যে মেথি শাক পাওয়া যায়, তা বেছে-ধুয়ে, রোদে শুকিয়ে নিয়ে কাজ চালানো যায়। কিন্তু তার গন্ধ বা স্বাদ কসুরি মেথির মতো হবে না।
কসুরি মেথির তুলনায় সাধারণ মেথি শাক একটু বেশি তিতকুটে। গন্ধও দীর্ঘস্থায়ী নয়। যতই রোদে শুকিয়ে, বায়ুরোধী পাত্রের মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখুন, তাতে কাজের কাজ কিছু হবে না। প্যাকেট কাটার পরেও কসুরি মেথি ফ্রিজ়ে দীর্ঘ দিন রাখা যায়। কিন্তু সাধারণ মেথি শাক বেশি দিন ভাল থাকার কথা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy