—প্রতীকী চিত্র।
বাঙালির বারো মাসে হাজার পার্বণ। তবে বাঙালি যে শুধু উৎসবপ্রিয়, তা তো নয়। একই সঙ্গে ভোজনরসিকও বটে। আর তাই ঘন ঘন পেটের গোলমালেও ভোগেন অনেকে। গ্যাস-অম্বল, পেট ভার হল নিত্য দিনের সমস্যা। পুষ্টিবিদেরা বলেন, প্রতি দিন এমন কিছু খাবার নিজেদের অজান্তেই খাওয়া হয়ে যায়, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে আরও খারাপ করে তোলে। তাই রোজকার খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা জরুরি। সেই সঙ্গে পেটের খেয়াল রাখে, এমন খাবার বেশি করে খেতে পারলে ভাল।
জল কম খাওয়া, বাইরের খাবারের প্রতি অত্যধিক ভালবাসা— এমন কিছু কারণে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ হয়। তার ফলেই পেটসংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে প্রো-বায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, পেটের গোলমাল ঠেকাতে প্রো-বায়োটিক উপাদান কিংবা গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই। আপেল খেলেই নাকি পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূরে চলে যাবে।
আপেলে পেকটিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। পেকটিন অন্ত্রের যত্ন নেয়। পরিপাকক্রিয়া মসৃণ হয়। হজমও হয় দ্রুত। তা ছাড়া ফাইবার সমৃদ্ধ আপেল হজমশক্তি উন্নত করে। প্রতি দিন একটি করে আপেল খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা তো বটেই, সেই সঙ্গে দূরে থাকে অন্য অসুখ-বিসুখও। পেটের জন্য উপকারী হলেও অনেকেরই ধারণা, আপেল খেলে বরং পেট ফাঁপা, গ্যাস-অম্বল হয়। সত্যিই কি তাই? পুষ্টিবিদ পম্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তা একেবারেই মানতে রাজি নন।
পম্পিতা বলেন, ‘‘বিষয়টি একেবারেই তা নয়। আপেল খেলে সাধারণত গ্যাস-অম্বল হওয়ার কথা নয়। আপেল এমনিতে সহজে হজম করা যায়। আপেলে রয়েছে ফাইবার। ফলে হজম করতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে আপেল যদি সেদ্ধ করে খাওয়া যায়, তা হলে আরও ভাল। সেদ্ধ আপেল পেটের খেয়াল রাখে। গ্যাস-অম্বল হওয়ার সুযোগ দেয় না।’’ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে কি আপেল খাওয়া যায়? পুষ্টিবিদ বলেন, ‘‘যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে আপেল খাওয়ার কোনও বিরোধ নেই। আপেল খেলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে, এমন কোনও আশঙ্কা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy