Advertisement
E-Paper

বৌয়ের আবার বিয়ে! স্ত্রীর চতুর্থ বিয়ের ছবি ইনস্টাগ্রামে দেখে থানায় ছুটলেন তৃতীয় স্বামী

কর্নাটকের বাসিন্দা প্রশান্ত বি হঠাৎই সমাজমাধ্যমে দেখলেন, তাঁর নিখোঁজ স্ত্রী স্নেহা বা নির্মলা অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে করে ফেলেছেন। কী করলেন তিনি শেষমেশ?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৯
Karnataka Woman marries fourth time hiding her previous marriages, third husband files cheating case against her.

বৌ অন্য কারও সঙ্গে বেঁধেছে ঘর। ছবি: সংগৃহীত।

সমাজমাধ্যম ঘাটতেই এক যুবকের চোখে পড়ল কয়েক মাস ধরে তিনি যে বৌয়ের খোঁজ করছিলেন, তিনি অন্য কারও সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। কর্নাটকের বাসিন্দা প্রশান্ত বি হঠাৎই সমাজমাধ্যমে দেখলেন তাঁর নিখোঁজ স্ত্রী স্নেহা বা ‘নির্মলা’ অন্য এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে করে ফেলেছেন। ইনস্টাগ্রামে স্নেহার সঙ্গে রঘুর বিয়ের ছবি দেখে চমকে গিয়েছিলেন প্রশান্ত। মাস তিনেক আগে অন্তঃসত্ত্বা বলে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন প্রশান্তের স্ত্রী। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।

প্রশান্ত ২১ ডিসেম্বর দাভাঙ্গেরের কেটিজে নগর থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান। তার ক’দিন পরেই ইনস্টাগ্রামে স্ত্রীর বিয়ের খবর থেকে হতবাক হয়ে যান তিনি। সংবাদমাধ্যমকে প্রশান্ত বলেন, ‘‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বাপের বাড়ি চলে যায় স্নেহা। সেখানেই ওষুধ খেয়ে গর্ভপাত করিয়েছে ও। অন্য কাউকে বিয়ে করবে বলেই এই কাজ করে স্নেহা। এই সব বিষয় আমাকে কিছুই জানোনো হয়নি। আমাদের দেড় বছরের বিবাহিত জীবন ছিল। ও আমায় না জানিয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমি সত্যিই ভেঙে পড়েছি।’’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্নেহাকে বিয়ে করেন প্রশান্ত। স্নেহার সঙ্গে সমাজমাধ্যমেই আলাপ হয় তাঁর। তার পরেই শুরু হয় প্রেমপর্ব। স্নেহা মান্ডা জেলার নারাহাল্লির বাসিন্দা। প্রশান্তকে বিয়ে করার আগে স্নেহা আরও দু’জনকে বিয়ে করেছিলেন বলে অভিযোগ। আপাতত রঘুর সঙ্গে বিয়ে করে বেঙ্গালুরুতে আছেন স্নেহা। প্রশান্ত বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগেই স্নেহার দু’টি বিয়ে হয়েছিল। সেই বিষয়েও আমাকে ওর বাড়ির তরফে কিছু জানানো হয়নি। সম্প্রতি স্নেহার পরিবারের এক জন আমাকে ওর আগের বিয়েগুলির কথা জানায়।’’

প্রশান্ত জানায় সমাজমাধ্যমে ভীষণ সক্রিয় স্নেহা। সেখানেই যুবকদের সঙ্গে প্রেমের ফাঁদ পাতেন তিনি। স্নেহাকে জব্দ করতে থানায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রশান্ত। প্রশান্ত বলেন, ‘‘স্নেহা আমার মতো অন্য কোনও যুবকের যেন আর ক্ষতি না করতে পারে সেই কারণেই থানায় গিয়েছিলাম আমি।’’

Karnataka Marriage Fraud
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy