সুস্থ থাকার জন্য মিল হিসাবে ভাত খুবই উপকারি।
ভারতীয়দের কাছে, বিশেষ করে বাঙালিদেক কাছে সবচেয়ে প্রিয়, সুবিধাজনক, আরামদায়ক খাবার ভাত। বাঙালিদের যেমন ভাতের পাতে চাই সুস্বাদু শুক্তো, আলু পোস্ত বা মাছ, দক্ষিণীরা এই ভাতই উপভোগ করেন সম্বর, চাটনি সহযোগে। আবার পঞ্জাবীদের জিভে জল আসে রাজমা চাওলের নামে। পেট ভরানো থেকে ভাল ঘুম হওয়া, ভাতের এই গুণগুলোই যে আমাদের ভালবাসার কারণ। অথচ স্বাস্থ্য সচেতনতা এই ভাতকেই করে তুলছে ভিলেন। ওজন বশে রাখতে ডায়েট থেকে ভাত বাদ দিচ্ছেন অনেকেই। অনেকে আবার বুঝে উঠতে পারেন না ঠিক কতটা ভাত খাওয়া উচিত। কতটা খেলে পেটও ভরবে, অথচ মোটাও হবেন না। নিউট্রিশনিস্ট জামুরুদ পটেল জানাচ্ছেন, যদি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে খান তা হলে ভাত খেলে কখনই মোটা হবেন না। সেই সঙ্গেই খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার।
১০০ গ্রাম সাদা ভাতে পুষ্টির পরিমাণ
ক্যালোরি: ৩৫৭ কিলো ক্যালোরি
প্রোটিন: ৮ গ্রাম
ফ্যাট: ০.৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৭৮ গ্রাম
ফাইবার: ২.৮ গ্রাম (২ গ্রাম সলিউবল ফাইবার ও ০.৮ গ্রাম ইনসলিউবল ফাইবার)
ভাত খাওয়ার সঙ্গে ফাইবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিকদের জন্য। তাই নিরামিষ বিরোধী হলেও অবশ্যই ভাতের সঙ্গে সব্জি, ডাল, দই খান। আবার ভাতের মধ্যে যে প্রচুর পরিমাণ স্টার্চ রয়েছে তা শরীরে সঞ্চিত গ্লুকোজ ভেঙে রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়। তাই তা সামাল দিতেও ডায়াবেটিকদের ফাইবার খাওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খিচুড়ির খোলা চিঠি, লিখলেন ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিবেকর
প্রতি দিন ঠিক কতটা ভাত খাওয়া উচিত?
পটেলের মতে, কতটা ভাত খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে সেই দিনে কতটা ক্যালোরি প্রয়োজন তার উপর। অর্থাত্, আপনি কতটা শারীরিক পরিশ্রম করছেন তার উপর। নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যায় না। যদি মনে করেন আপনি বেশি ভাত খেয়ে ফেলছেন, তা হলে সাদা ভাতের বদলে খেতে পারেন ব্রাউন রাইস। যা ক্যালোরির পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে ডায়েটে যোগ করবে ফাইবার। পুষ্টিগুণ একই রেখে।
আরও পড়ুন: দুধ ফুটিয়ে খাওয়া ভাল? নাকি না ফুটিয়ে?
ভাত শুধু পুষ্টিকর খাবারই নয়, কার্বোহাইড্রেট যেমন আমাদের এনার্জি জোগায়, তেমনই ভাতের সঙ্গে ডাল, সব্জি, মাছ, ডিম, চিকেন খেয়ে থাকি আমরা। যা কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে যোগ করে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার। তাই সুস্থ থাকার জন্য মিল হিসাবে ভাত খুবই উপকারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy