ইদানীং এয়ারফ্রায়ারে রান্নার ঝোঁক বাড়ছে, তার মূল কারণ প্রায় বিনা তেলেই রান্না করা যায় এতে। রান্নায় যেহেতু তেলের ব্যবহার কম হয় বা থাকে না, তাই শরীরের পক্ষে ভাল। তা ছাড়া তাড়াতাড়ি রান্নাও হয়ে যায়। তবে এতে খাদ্যগুণ কতটা বজায় থাকে? বা অন্য কোনও সমস্যা হতে পারে কি না তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।
পুষ্টিবিদ কোয়েল পালচৌধুরী বললেন, “এয়ারফ্রায়ারে ফ্যাটের ব্যবহার কম হয়। তেল, ঘি বিশেষ লাগে না। ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে, ওবেসিটি থাকলে বা মধুমেহ রোগীদের জন্য এয়ারফ্রায়ারে রান্না খাবার উপকারী।” তবে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় যতক্ষণ ধরে রান্না করার নির্দেশ থাকবে, সে ভাবেই রাঁধতে হবে। তা হলে রান্নার ভিটামিনস ও খনিজ বজায় থাকবে। এয়ারফ্রায়ারে একবারে অনেক পরিমাণ খাবার দেবেন না। হাওয়া চলাচলের জায়গা রাখতে হবে।
অনেকে এয়ারফ্রায়ারে তেল ছাড়া রাঁধেন বলে বাস্কেট বা প্যান ভাল করে পরিষ্কার করেন না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, খাবার থেকে অর্থাৎ চিকেন বা মাছ থেকে যে ফ্যাট বেরোচ্ছে সেটা জমে-জমে বারবার গরম হলে ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরি করে। ফলে প্যান পরিষ্কার না করে বারবার খাবার রান্না করতে থাকলে সেটা খাবারে মিশে শরীরে চলে যাবে। এর থেকে হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়ে। তাই রান্নার আগে পার্চমেন্ট পেপার ব্যবহার করতে পারেন। কোয়েল বললেন, “অনেক সময়ে তাড়াতাড়ি রান্না করতে গিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া হতে পারে। এতে অ্যাক্রিল্যামাইড, পলিসাইক্লিক অ্যারোমাটিক হাইড্রোকার্বন (পিএএইচ) নিঃসৃত হতে পারে। এর থেকে নানা রোগবালাই হতে পারে।”
এয়ারফ্রায়ারে অল্প তেল ব্যবহার করলেও এমন তেল ব্যবহার করুন, যার স্মোক পয়েন্ট বেশি। না হলে খাবারের স্বাদ ও গুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)