পোলাও মাংস। ছবি: সংগৃহীত
করোনায় আতঙ্কিত সময়ে বাইরে গিয়ে খাওয়াদাওয়া কমিয়ে ফেলা হয়েছে। যখন-তখন কফি শপে আড্ডা বা বন্ধুদের সঙ্গে নৈশভোজের চল এখন আর আগের মতো নেই। যতটুকু বা হয়, তার জন্য পরিকল্পনা চলে বেশ আগে থেকে। যাতে আড্ডা ও পেটপুজোতেও বজায় রাখা যায় করোনা সংক্রান্ত সতর্কতা। তবে বৈশাখী মরসুমে বিশেষ ভোজের জন্য বাইরে যেতে ইচ্ছে করলে প্রস্তুত রয়েছে বিভিন্ন রেস্তঁরা।
পুরনো সাহেবিয়ানার রেশ ধরে রাখা ‘চ্যাপ্টার টু’ যেমন নানা ধরনের খাবার নিয়ে সাজিয়েছে নবর্বষের হেঁশেল। সেকালের পার্ক স্ট্রিটের গন্ধ মাখা প্রন ককটেল, চিকেন আলা কিভ, আইরিশ ল্যাম্ব স্ট্যু, ডেভিল্ড ক্র্যাব চেখে দেখা যায় সেখানে। এ সব বাঙালি রান্না নয় ঠিকই, তবে বাঙালিয়ানার অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তো বটেই।
বিরিয়ানি ছাড়া যে বাঙালির কোনও বিশেষ দিনই জমে না, তা আলাদা করে বলার বা কী আছে! ‘ঔউধ ১৫৯০’ হরেক রকমের মোগলাই রান্না নিয়ে প্রস্তুত নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে। রান বিরিয়ানি থেকে নার্গিসি কোফতা, বাঙালির নতুন বছরের আড্ডা জমাতে সব হাজির সেখানে।
‘হোয়াটস্অ্যাপ কাফে’তে সারা বছর যেমনই নানা দেশের খাবারে মাতুন, এই সময়টা একেবারে বাঙালিয়ানার। বাসন্তী পোলাও আর কষা মাংসের মেলবন্ধনে বছর শুরু করা যায় সেখানে। শেষপাতের মিষ্টিমুখে থাকুক সামান্য বৈচিত্র্য।
‘লর্ড অব দ্য ড্রিঙ্কস’-এ আবার তৈরি হয়েছে বর্ষবরণের ফিউশন রান্না। চিংড়ি মালাইকাড়ি, ভেটকি পাতুরি যেমন থাকবে, তেমনই থাকছে মোচার ক্রকেট, কুচো চিংড়ি আর চিজ দিয়ে চুরমুর।
ফিউশন রসনায় মজতে চাইলে গোল পার্কের ‘ইয়েলো টার্টল’-এর হেঁশেলও প্রস্তুত। কাঁচা আমের থাই স্যালাড, গন্ধরাজ মুরগির তেমপুরা, ডাবের আইসক্রিমের আহারে আড্ডা জমতে পারে সেখানেও।
বাঙালির পছন্দের সব রকম খাবার এক ছাদের তলায় পেতে হলে আবার চলে যাওয়া যায় সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের ‘নাইন্টি নাইন’-এ। চিকেন স্যান্ডউইচ থেকে চিলি ফিশ, আলুর পরোটা— কী নেই সেখানে!
ভালমন্দ আহার ছাড়া বাঙালির কোনও পার্বণই ঠিক জমে না। সে কথা যে এমন সময়েও খেয়াল রেখেছে শহরের রেস্তঁরা-মহল, তা-ই জানান দিচ্ছে তাঁদের বছর শুরুর আয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy