প্রাতরাশে রুটি-তরকারি অনেকে খেলেও, এই সব খাবার তরুণ প্রজন্মের তেমন মনে ধরে না। বদলে মাখন পাউরুটি, চিজ় টোস্ট, জ্যাম লাগানো পাউরুটি পছন্দ অনেকের। টোস্ট বলতে, মাখন টোস্টের জনপ্রিয়তাই বেশি। কড়া করে সেঁকা পাউরুটির উপর মাখনের প্রলেপ। তার উপরে কেউ খান চিনি ছড়িয়ে, কেউ আবার গোলমরিচ।
তবে শীতের প্রাতরাশে একটু বদল আনতে চাইলে টোস্ট নিয়েও ভাবতে পারেন। সুজি থেকে সুইটকর্ন, পালং, নানা রকম উপকরণে বানানো যায় নিরামিষ-আমিষ টোস্ট।
পালং টোস্ট
টাটকা পালংশাকের পুষ্টিগুণ মোটেই কম নয়। পাউরুটির সঙ্গে যদি সেই সব্জি জুড়ে দেওয়া যায়! ভাবছেন ছোটরা দেখলেই উঠে যাবে? মোটেই নয়। বানানোরও কায়দা জানা চাই। কড়াইয়ে সামান্য মাখন দিয়ে রসুনকুচি, পেঁয়াজ হালকা ভেজে যোগ করুন পালং, সুইট কর্ন। স্বাদমতো নুন, গোলমরিচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে দিয়ে দিন অল্প একটু দুধ এবং চিজ়। আঁচ কমিয়ে রান্না করে নিন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে সেঁকা পাউরুটির উপর মাখনের মতো মাখিয়ে দিন।
সসেজ টোস্ট
সসেজ দিয়েও বানাতে পারেন লোভনীয় টোস্ট। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
অনেক বাড়িতেই এখন প্রাতরাশে সসেজ খাওয়া হয়। শীতের দিনে গরম সসেজ খেতেও দারুণ লাগে। হিমায়িত সসেজ় দিয়েও এটি করা যায়। সসেজ় ঘরের তাপমাত্রায় এলে কড়াইয়ে মাখন দিয়ে হালকা নাড়াচাড়া করে নিন। তার পর ছোট টুকরো করে কেটে নিন। তার সঙ্গে মেয়োনিজ় যোগ করুন। দিন অল্প গ্রেট করা চিজ়, স্বাদমতো নুন এবং চিলি ফ্লেক্স। ক্রিমের মতো মিশ্রণটি সেঁকা পাউরুটির উপর চারিয়ে দিন।
সুজির টোস্ট: টকদই দিয়ে সুজি ফেটিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তার মধ্যে স্বাদমতো নুন এবং পেঁয়াজ, লঙ্কা, গাজর, পেঁয়াজপাতা কুচি বা ধনেপাতাকুচি যোগ করুন। পাউরুটিতে মিশ্রণটি মাখিয়ে নিন। গরম তাওয়ায় অল্প মাখন বা সাদা তেল দিয়ে পাউরুটি সুজির মিশ্রণ-সহ সেঁকে নিন। কাঁচা সুজির দিকটি তাওয়ার উপর দিয়ে সেঁকতে হবে ভাল করে।