Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Mother's Day

মাতৃত্বের সব দাবি রক্ষা করা বেশ কঠিন কাজ, বার্তা বলি-অভিনেত্রীর

মা হওয়া মানেই কি শুধু অন্যের কথা ভাবা, আর অন্যের জন্য করা? যে কোনও নারী মা হওয়ার আগেও স্বতন্ত্র এক ব্যক্তি।

মা হয়েছেন মানেই সর্বক্ষণ সন্তানদের স্কুলের খবর রাখতে ভাল লাগবে, এমন ভাবনায় বিশ্বাস করেন না অভিনেত্রী লিসা রায়।

মা হয়েছেন মানেই সর্বক্ষণ সন্তানদের স্কুলের খবর রাখতে ভাল লাগবে, এমন ভাবনায় বিশ্বাস করেন না অভিনেত্রী লিসা রায়। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২১ ১৩:৪৭
Share: Save:

মাতৃত্ব দিবসে নেটমাধ্যম ভরে গিয়েছে মায়েদের ত্যাগ, ভালবাসা আর যত্নের গল্পে। মা মানেই যে সব শব্দ বেশি মনে পড়ে, উঠে এসেছে সে সব। কেউ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মাকে, কেউ বা যথেষ্ট ধন্যবাদ না দিতে পারার কথা বলেছেন। তার মধ্যেই কিছু কম বলা কথা তুলে ধরলেন অভিনেত্রী লিসা রায়। মা হওয়া মানেই কি শুধু অন্যের কথা ভাবা, আর অন্যের জন্য করা? যে কোনও নারী মা হওয়ার আগেও স্বতন্ত্র এক ব্যক্তি। তার পরে তিনি কারও মা।

মূলত মা হিসেবে নিজের অভিজ্ঞাতার কথাই বললেন লিসা। জানালেন, মাতৃত্বের সব দায়িত্ব ভাল ভাবে পালন করা সহজ কাজ নয়। এখনও মায়ের ভূমিকার সঙ্গে পুরপুরি মানিয়ে নিতে পারেননি নিজেকে। তাঁর বক্তব্য, সমাজ মায়েদের কাছে নানা রকম দাবি রাখে। সব মেটাতে ইচ্ছুক নন তিনি। সমাজ ধরে নেয়, মা হলেই কয়েকটি কাজ করতে ভাল লাগবেই মহিলাদের। যেমন, রান্না করা। ছেলেমেয়ের স্কুলে কী হচ্ছে, সে সব নিয়ে আলোচনা। কিংবা খোঁজ নিতে ইচ্ছা করবে, অন্য শিশুদের তুলনায় কতটা এগিয়ে তাঁর নিজের সন্তান। কিন্তু লিসা জানালেন, এ সব তাঁর মোটেও ভাল লাগে না। তিনি আগে রাজনীতি, সাহিত্য নিয়ে কথা বলতে ভালবাসতেন। মা হওয়ার পরেও তাঁর পছন্দ বদলে যায়নি।

তবে কি সুখে নেই লিসার পরিবার?

যমজ মেয়েদের নিয়ে তাঁর সংসার বাঁধা আছে ভালবাসায়। সকলেই সকলের ভাল লাগা, না লাগার দিকে নজর দেন। মায়ের জন্য সেটা খুব জরুরি বলে মনে করেন লিসা। ইনস্টাগ্রামে এ কথা নিজেই লিখলেন অভিনেত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

instagram Motherhood Mother's Day Lisa Ray
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE