কিছু খাবার মাইক্রোআভেনে দেওয়ার আগে দু’ বার ভাবুন। ছবি: শাটারস্টক।
গ্রীষ্ম হোক বা শীত, খাবার গরম করে খেতেই ভাল লাগে। কিন্তু ব্যস্ততার যুগে সবসময় রান্না করে খাওয়ার সময় থাকে না। তাই এক বারে অনেকটা রান্না করে তা দিয়েই দু’-তিন বেলা চালিয়ে নেওয়ার একটা প্রবণতা থাকে।
অনেকে আবার কাজের সূত্রে একাই বাড়িতে থাকেন। তাই একার জন্য বা তাড়াহুড়োয় রান্না করে খাওয়া বড় ঝক্কির বিষয়। অতএব ভরসা করেন বাইরের খাবারে। খাওয়ার আগে কেবল গরম করে নিলেই হল।
খাবার গরমের ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভেই আস্থা রাখেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, কিছু কিছু খাবারের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। ‘জার্নাল অব এগ্রিকালচারকাল ফুড অ্যান্ড কেমিস্ট্রি’-র একটি প্রতিবেদনে একদল গবেষক এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে সচেতন করেছেন। বিস্তারিত প্রমাণ পেশ করে দেখিয়েছেন, মাইক্রোওয়েভে গরম করা খাবারে ভিটামিন বি১২ ক্রমে তার কার্যকরিতা হারায়। এক এক বার খাবার গরম করলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি১২ নষ্ট হয় খাবারের।
তা ছাড়া বেশ কিছু খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করলে সেই খাবারের খাদ্যগুণ নষ্ট হয় ব্যাপক ভাবে। জানেন কি কোন খাবারগুলি মাইক্রোওয়েভে গরম করা উচিত নয় বলে মতপ্রকাশ গবেষকদের?
আরও পড়ুন: ত্বক বাঁচাতে মেক আপের সময় খেয়াল রাখুন এ সব
অধিকাংশ বাড়িতে একসঙ্গে দু’বেলার ভাত তৈরি হয়। আভেন থেকে নামানোর পরে ভাত যদি ঘরোয়া তাপমাত্রাতেই রেখে দেওয়া হয় তা হলে ভাত যত ঠান্ডা হতে থাকে তত নানা ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে থাকে । সেই ঠান্ডা হওয়া ভাত যদি আবার গরম করা হয় তবে ব্যাকটিরিয়াগুলির ক্ষতিকারক প্রভাব আরও বৃদ্ধি পায়। ডিমের ঝোল, ডিমের কারি, ডিম সেদ্ধ বা অমলেট কোনওটাই গরম করে খাওয়া ভাল নয়। কারণ ডিম দ্বিতীয় বার গরম করলে তার প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায় এবং ডিমের মধ্যেই নানা ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া জন্মায়। এই ব্যাকটিরিয়া পেটে গেলে শরীর খারাপ করে।
ঠান্ডা হওয়া ভাত যদি আবার গরম করা হয় তবে ব্যাকটিরিয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
চিকেন বা মুরগির মাংসেও প্রোটিনের মাত্রা যথেষ্ট থাকে। তাই দ্বিতীয় বার গরম করলে প্রোটিনের অণুগুলি ভেঙে যায়। তা ছাড়া অনেক সময় রান্নার পরেও এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটিরিয়া চিকেনের অংশবিশেষে রয়ে যায়। অল্প অংশেই থাকে বলে এগুলো খুব একটা পেটর অসুখের কারণ হয় না। কিন্তু রান্না করা চিকেন যদি মাইক্রোওয়েভে গরম করা হয় তা হলে এই ব্যাকটেরিয়া মাংসের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এই ব্যাকটেরিয়া গুরুতর পেটের অসুখ ঘটাতে পারে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় জন্ডিস আতঙ্ক, কী কী লক্ষণে সতর্ক হবেন, অসুখ এড়াবেন কী করে?
যে কোনও ধরনেক শাকও দ্বিতীয় বার গরম করা উচিত নয়। শাকে নাইট্রেট থাকে। রান্না করা শাকের তরকারি পুনরায় গরম করা হলে ওই নাইট্রেট থেকে নাইট্রোস্যামাইন নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয় যা শরীরের ক্ষতি করে। রান্না করা বা সেদ্ধ করা আলু ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিলে তাতে ব্যাকটিরিয়ার জন্ম হয়। সেই ব্যাকটেরিয়া অতটা ক্ষতিকর নয়, কিন্তু তা ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে ফের ওই রান্না করা আলু গরম করার সময়। এর পরিণামে পেটে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy