Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Anuttama Banerjee

বিবাহবিচ্ছেদের পর জীবনের সঙ্গে মানুষটাও কি বদলে যায়? আলোচনায় মনোবিদ, সঙ্গী দেবলীনা-পিয়া

‘লোকে কী বলবে! সঙ্গে অনুত্তমা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের এ পর্বের বিষয় ‘বদলে গেছি’! মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই পর্বে নিজের জীবনের কাহিনি ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত ও মনোসমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তী।

এ পর্বে মনোবিদ একা নন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত ও মনোসমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তী।

এ পর্বে মনোবিদ একা নন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত ও মনোসমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৩
Share: Save:

জীবনে অনেক সময় এমন ঘটানার সম্মুখীন হতে হয়, যার ফলে বদলে যায় গোটা জীবন। বাবা-মায়ের মৃত্যু থেকে বিবাহবিচ্ছেদ, বিয়ে থেকে প্রথম সন্তানের জন্ম— ছোট ছোট ঘটনাগুলি আমূল পাল্টে দেয় জীবনকে। কিছু বদল জীবনে সুখকর অনুভূতি দেয়, কিছু বদল আবার নিয়ে আসে হতাশা এবং যন্ত্রণা। পরিস্থির চাপে মানুষটাই যায় বদলে। এ সব নিয়েই সোমবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আলোচনায় বসলেন মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘কী করে বলব? সঙ্গে অনুত্তমা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের এই সপ্তাহের বিষয় ছিল ‘বদলে গেছি!’

পুরনো বছর কাটিয়ে সদ্য আমরা পা রেখেছি নতুন বছরে। নতুন বছরে কী বদল আনল আমাদের জীবনে? সত্যিই কি আমরা বদলাই যখন জীবন বদলায়? তবে এ পর্বে মনোবিদ একা নন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত ও মনোসমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তী। নতুন বছরের বদলের গল্প নিয়ে আড্ডায় বসলেন তিনজন।

দুজনের কাছে মনোবিদ প্রশ্ন রাখলেন, ‘‘জীবন বদলে যাওয়া মানে কি আমাদেরও বদলে যাওয়া?’’

দেবলীনা বললেন, ‘‘এক বার ইনস্টাগ্রামে দেখেছিলাম, একজন লিখেছিলেন, তাঁর কাছে জীবনের অর্থ হল জন্ম, বেছে নেওয়ার অধিকার আর মৃত্যু! ভারী চমৎকার লেগেছিল কথাটা। আমরা এমন অনেক কথা শুনি যা মনে ধরলেও জীবনে প্রয়োগ করা হয় না। অথচ জীবনে যখন বদল আসে, তখনই মনে পড়ে যায় সেগুলি। আমার জীবনে গত বছর যেই বদলটা এল তাঁকে আমি উত্তরণের চোখে দেখি। ইচ্ছাটাই আমার জীবনে সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাড়িয়েছিল। জীবনে বদল এল বলেই কথাটির আক্ষরীক অর্থটি বোধগম্য হল।’’পিয়া বললেন, ‘‘জীবনে কোনও বদল হলে আমরা হয়তো খানিকটা বদলাই। তবে চারিপাশের মানুষজন যেই বদলের কথাগুলি অনবরত বলতে থাকেন তাঁর সঙ্গে আমার ভিতরের বদলের কিন্তু আদৌ কোনও সম্পর্ক থাকে না। সম্পর্কে কোনও বদল হলে বা কাজের ক্ষেত্রে কোনও বদল হলে উপর উপর মানুষটাকে দেখে তাঁর ভিতরের বদল নিয়ে কথা বলাটা বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ নয়।’’

‘‘বিবাহবিচ্ছেদের পর যখন বৈবাহিক সম্পর্কে বদল আসে, তখন একজন নারী হিসাবে কতটা কঠিন হয়ে যায়?’’, প্রশ্ন রাখলেন মনোবিদ।

জবাবে পিয়া বললেন, ‘‘মেয়েদের জীবনের মূল্যায়নটাই সমাজ করে তাঁর বিয়ে, সংসার, ব্যক্তিগত জীবনকে দেখে। কোনও মেয়ে যখন কোনও সম্পর্ক থেকে, বিশেষ করে বিবাহের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন, তখন কিন্তু তাঁর উপর সমাজের এক বিশাল চাপ থাকে। যাঁদের সরাসরি মেয়েটির জীবনের সঙ্গে দূর দূরান্তে কোনও যোগাযোগ নেই, তারাও প্রশ্ন করে, ঠিক কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। মেয়েটি চাইলে সে বিষয় কাউকে নাই বলতে পারেন। সিদ্ধান্তটি একেবারেই তাঁর ব্যক্তিগত হওয়া উচিত।’’ প্রসঙ্গত পিয়ার ব্যক্তিগত জীবনের টালমাটাল নিয়েও কম চর্চা হয়নি।

দেবলীনা বলে উঠলেন, ‘‘যাপনটা তো আমি করেছি, আমার পরিস্থিতি সামনের লোকটা বুঝবেনই বা কী করে। মেয়েটা কতটা সফল সেটা লোকে বিচার করে সে কতটা সফল ভাবে সংসার করছে তাই দেখে। ছেলেদের বিচারটা একই ভাবে হয়না কেন?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anuttama Banerjee Loke Ki Bolbe
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE