শেষ পর্যন্ত জয় হয় ভালবাসারই। প্রতীকী ছবি।
৪৮ বছর বয়সি র্যাচেল কোডেল আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা। বিবাহবিচ্ছিন্না। দুই সন্তানের মা। ২০২০ সালে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর। তার পর থেকে সন্তানদের নিয়ে একাই থাকেন। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর মন থেকে ভীষণ একা হয়ে পড়েন তিনি। কাউকে মনের কথা খুলে না বললেও, র্যাচেল জীবনে একজন সঙ্গীর অভাব বোধ করছিলেন। সে জন্য একদিন ডেটিং অ্যাপে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট খুলে ফেললেন। সেখানে অনেকের সঙ্গে র্যাচেলের আলাপ হয়। প্রচুর কুপ্রস্তাবও পান। বন্ধুত্বের হাতও বাড়িয়ে দেন অনেকে। কাউকেই ঠিক মনে ধরছিল না তাঁর। একটা সময়ের পর আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। র্যাচেলের মনে হয়েছিল, বাকি জীবনটা বোধ হয় তাঁকে একাই কাটাতে হবে।
কথায় আছে, সবুরে মেওয়া ফলে। এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে। মনপসন্দ সঙ্গী না পেয়ে র্যাচেল যখন প্রায় আশাহত, সেই সময় তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় বছর ২৩-এর তরুণ অ্যালেক্স মাইকেলের সঙ্গে। দু’জনের বয়সের ফারাক ২৫ বছর। প্রথমে মামুলি কথাবর্তা দিয়ে শুরু। তার পর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। র্যাচেলের মনে হয়, এত দিন যেন মাইকেলের জন্যেই অপেক্ষা করছিলেন তিনি। মাইকেলের মতো এমন প্রাণখোলা, বুদ্ধিমান, মেধাবী একজনকেই তো খুঁজছিলেন তিনি! প্রথমে লিখে লিখেই কথাবার্তা চলত। পরে ফোন নম্বর আদান-প্রদান হলে সারা রাত ধরে র্যাচেল বিভোর হয়ে মাইকেলের কথা শুনতেন। মাইকেলের কণ্ঠস্বরের মাদকতায় র্যাচেল বিভোর হয়ে হয়ে থাকতেন। র্যাচেল বুঝতে পারেন, তাঁর অর্ধেক বয়সের একটি ছেলের প্রেমে পড়েছেন তিনি। সে কথা চেপে না রেখে এক দিন মাইকেলকে মনের কথা বলেন র্যাচেল। একটুও সময় না নিয়ে মাইকেলও তাঁর অনুভূতির কথা জানান। র্যাচেল এবং মাইকেলের এই অসমবয়সি সম্পর্ক প্রথমে দুই পরিবারের কেউ-ই মেনে নেয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত জয় হয় ভালবাসারই। বিয়ে করেননি। কিন্তু এক ছাদের তলায় থাকতে শুরু করেন দু’জনে। সন্তান আর প্রেমিককে নিয়ে আনন্দে দিন কাটছে র্যাচেলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy