দুর্গাপুজো শেষলগ্নে। কিন্তু উৎসবের মরসুম সবে শুরু হয়েছে। আর এই সময়ে বাড়িতে পোষ্যদের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। ক্রমাগত নানা ধরনের শব্দের ফলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। আবার বাড়িতে অতিথির আনাগোনা বা পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিও তাদের মনে উদ্বেগ তৈরি করে। কেউ খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয়। কারও ঘুমোতে সমস্যা হয়। ফলে সতর্ক না হলে পোষ্যের স্বাস্থ্য দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন:
কী করা উচিত
১) বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনার ফলে পোষ্য যদি তার পরিচিত জায়গায় বিশ্রাম বা না ঘুমোতে পারে, তা হলে তাদের ক্লান্তি বাড়ে। এ রকম পরিস্থিতিতে তাদের জন্য বাড়ির একটি প্রান্তে আলাদা বিশ্রামের জায়গা করে দেওয়া উচিত।
২) উৎসবের সময় ব্যস্ততার কারণে পোষ্যের জন্য সময় বার করা কঠিন হতে পারে। কিন্তু পোষ্য যদি নিয়মিত বাড়ির বাইরে হাঁটতে বা খেলতে অভ্যস্ত হয়, সেই রুটিনে যেন ছেদ না পড়ে। দৈনিক রুটিনে পরিবর্তন না ঘটলে তারাও খুশি থাকবে।
৩) উৎসবরে সময়ে পোষ্যকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হলে তার জন্য বাড়িতেই আলাদা সময় বার করা যেতে পারে। পোষ্যকে নতুন খেলনা কিনে দেওয়া যেতে পারে। তার ফলে উৎসবের ফলে তৈরি নতুন পরিস্থিতির দিকে তাদের মনোযোগ তৈরি হবে না।
৪) উৎসবের সময় বাড়িতে নানা ধরনের খাবারের আধিক্য দেখা যায়। চোখের আড়াল হলেই পোষ্য তা খেয়ে নিতে পারে। ফলে অজান্তে তার শরীর খারাপও হতে পারে। তাই পোষ্যের খাবার তার জন্য আলাদা করে তার নাগালে রেখে দেওয়া উচিত। তার ফলে অন্যান্য খাবার দেখলে তার মনের মধ্যে লোভ তৈরি হবে না।
৫) ঢাকের আওয়াজ, মাইক বা শব্দবাজির শব্দে পোষ্যেরা ঘাবড়ে যায় এবং চিৎকার করতে পারে। আগে থেকেই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। পরিস্থিতি উপস্থিত হলে পোষ্যের সঙ্গে সময় কাটালে তার মনের মধ্যে ভয় তৈরি হবে না। ফলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির সঙ্গে সে নিজেকে মানিয়ে নেবে।